একটু ধারাবাহিক তৈরির ক্ষেত্রে নির্মাতাদের অনেক দিকের খেয়াল রাখতে হয়, যা হয়তো সাধারণত ওয়েব সিরিজ বা সিনেমার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হয় না। মনে রাখতে হবে, ধারাবাহিক মানেই সেটা অনেকদিন ধরে সম্প্রচারিত হবে। বরং তার শুরুর দিন থাকলেও দেশের সময় ঠিক করা থাকে না।
যতদিন সম্ভব দর্শকদের সেটার মধ্যে জিইয়ে রাখাই যেন ধারাবাহিকের অন্যতম সাফল্য। কিন্তু সেটার জন্যই নির্মাতাদের অনেক কিছু খেয়াল রাখতে হয়। খেয়াল রাখতে হবে দর্শকদের আর অন্যদিকে আশে পাশের পরিস্থিতিরও। আর সব কিছুর মধ্যে দিয়ে যেটার খেয়াল রাখতে হয়, তা হল টি আর পি।
টি আর পি! ধারাবাহিকের পরীক্ষার রেজাল্ট। নির্মাতারা যা খুশি ভাবুক যে তারাই একমাত্র দর্শকদের টানছে। টি আর পি লিস্টে যদি সেই ধারাবাহিক নাম না থাকে, তাহলে এইসব ভাবনা বৃথা। কারণ টি আর পি এ শেষ কথা বলে।
এমনিতেও এখন নতুন নতুন ধারাবাহিকের একটা চল শুরু হয়েছে। নতুন নতুন গল্প নিয়ে বেশ জোশ নিয়ে ধারাবাহিকগুলো শুরু হয়ে যাচ্ছে, তারপর ফুস করে ধারাবাহিকগুলো উবেও যাচ্ছে। এই কারণে ৪০০-৬০০ এর বেশি এপিসোডও করতে পারছে না নতুন ধারাবাহিকগুলো।
কিন্তু এর মাঝে স্টার জলসার ‘ অনুরাগের ছোঁয়া ‘ কিন্তু বেশ কড়া টক্কর দিচ্ছে সবকটি ধারাবাহিককে। এর অন্তরালে কোথাও হয়তো দুই খুদে শিল্পী সোনা রূপা রয়েছে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে রয়েছে স্ট্রং স্ক্রিপ্টিং। অর্থাৎ খল নায়িকার চরিত্রকে এখনও যথেষ্ট সারপ্রাইজিং ও সাসপেনসিং রেখেছে।
আর এই নিয়েই এক দর্শকের বক্তব্য নেট পাড়ায় বেশ সাড়া ফেলেছে। তিনি লিখেছেন, “ভিলেনের পর্দা ফাঁস মানে সিরিয়ালের বারোটা বাজানো দর্শক ভাবে এইতো শেষ আর কি দেখবো? কার্তিকা দীপাম এর রাইটারে বুদ্ধি মত্তার প্রশংসা করতেই হয়।”
তিনি আরও বলেন, “শুরু শেষ অব্দি মিশকা চরিত্রকে জিইয়ে রেখেছে।যারা আগপিছ চিন্তা না করে ভিলেনের পর্দা ফাঁস করুন বলে চেঁচায় তাদের টিআরপি ধরে রাখা সমন্ধে কোনো আইডিয়া নেই।দর্শকদের চাহিদা পূরণ করতে মনফাগুন-গাঁটছড়া দুটোই ধংস হলো। এতো তাড়াতাড়ি যেনো মিশকার পর্দা ফাঁস না করে তাহলে শেষ অনুরাগের ছোঁয়া”