টেনে দুটো চড় মারা উচিত ছিল! অতি ন্যাকা বাচ্চা, আর প্রশ্রয় দেওয়া বাবা-মা গুলো বিপদ ডেকে আনে! সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল্ড সোনা-সূর্য
স্টার জলসার (Star jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো অনুরাগের ছোঁয়া(Anurager Chhowa)। এখানে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন দিব্যজ্যোতি দত্ত (Dibyojyoti Dutta) ও স্বস্তিকা ঘোষ (Swastika Ghosh)। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, ধারাবাহিকের নায়ক ও নায়িকার মধ্যে বারংবার ভুল বোঝাবুঝি হয় এবং তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয় সেই দূরত্ব অর্থাৎ বিচ্ছেদ হয় দীর্ঘমেয়াদী তারপর তাদের আবার ভুল বোঝাবুঝি মিটে যায় কিন্তু ভুল বোঝাবুঝি মিটতে না মিটতেই নতুন করে আবার গল্পের মোড় ঘুরে যায়, নতুন করে শুরু হয় ভুল বোঝাবুঝি।
দীর্ঘ সময় এই একই জিনিস দেখতে দেখতে রীতিমত বিরক্ত হয়ে যান দর্শক। তাদের বক্তব্য, এই ধারাবাহিকের নাম অনুরাগের ছোঁয়া না দিয়ে ভুল বোঝাবুঝির ছোঁয়া দিলে ভালো হতো। কারণ এই ধারাবাহিকে ভুল বোঝাবুঝি মেটার কোনও নাম নেই। ধারাবাহিকে সম্প্রতি দেখা যায় যে, সূর্যর স্মৃতি ফিরে এসেছে, সূর্য দীপা কে প্রমিস করেছে যে সে তাদের মধ্যে আর কোন তৃতীয় ব্যক্তি কে আসতে দেবে না। দর্শক এই পর্ব দেখে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন।
কিন্তু তারপরেই ধারাবাহিকের সেই ভয়ংকর প্রোমো এলো! যেখানে দেখা যাচ্ছে যে বন্যার মধ্যে পড়ে গেছে সূর্য ও তার গোটা পরিবার। সূর্যর কোলে আছে সোনা, সূর্য ধরে আছে রূপা ও স্ত্রী দীপাকে। জলের তোড়ে মেয়েদের বাঁচাতে দীপা রূপার হাত ছেড়ে দেয়, এরপর দেখা যায় রূপাও সূর্যের হাত ছাড়িয়ে ভেসে যায়। ভেসে যাওয়ার আগের মুহূর্তে এই ঘটনার জন্য সে দায়ী করে যায় নিজের বাবা এবং বোন সোনাকে। কারণ সোনা এমন ভাবে সূর্যকে ধরে রেখেছিল যে, সূর্য রূপাকে ধরে রাখতে পারছিল না,ওদিকে বাবা হয়েও সূর্য রূপাকে ছেড়ে দেয় যেটা রূপার মনে দাগ কাটে।
কিন্তু যখন এপিসোড টেলিকাস্ট হতে থাকে তখন সোনার বক্তব্য দেখে রীতিমতো রেগে যান দর্শক। তারা বলেন যে সোনার জন্যই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলো। অন্যদিকে সোনার এই ন্যাকামোকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য সূর্যকে নিয়েও রীতিমতো সমালোচনা করা হয়। ঝড়ের রাত্রে সোনার নদী দেখার বায়নাকে সূর্যর প্রশ্রয় দেওয়া কোনমতেই উচিত হয়নি। দর্শক মনে করেন সেই মুহূর্তেই সোনাকে থামিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন সমালোচনা করে লিখেছেন যে,“আহ্লাদি সোনা যখন ঝড়ের রাতে নদী দেখার জন্য বায়না করছিলো, তখন উচিত ছিলো কানের নিচে ঠা*স করে একটা দিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া..কী সাহস! বাবা দোনোমোনো করছে দেখে ‘তুমি নিজের সোনা মাকে ভালোবাসো না’ বলে ন্যাকা কান্না শুরু করেছে…এসব অতি ন্যাকা বাচ্চাগুলো বিপদ ডেকে আনে..”
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত এক ক্ষোভের কারণেই শেষ জীবনে কাজ ছেড়ে দেন নিমু ভৌমিক! কী সেই কারণ?
ঐ নেটিজেন যেমন সোনার সমালোচনা করেছেন তেমনি সূর্যর ও সমালোচনা করেছেন, একজন গার্জেন হিসেবে তার মধ্যে বিচক্ষণতা থাকা উচিত, যেখানে বন্যা এসেছে সেখানে ফিরে যাওয়া উচিত ছিল তাই মনে করেন দর্শক। ঐ দর্শকের কথায়,“সূর্যকেও বলিহারি যাই, বান এসেছে শুনেও ফিরে না গিয়ে অন্যদিকে ঘোরার পরিকল্পনা করছে! এখন বাপ-বেটি মিলে সুখে থাকুক..”