‘১৮ বছর আগেও ভালোবাসতাম আজও ভালোবাসি’! সূর্যের চাপে দীপাকে মনের কথা বলল অর্জুন! তুখোড় প্রোমো

অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালে এখন টানটান উত্তেজনার পর্ব চলছে একের পর এক। সূর্য এবং দীপা বিচ্ছেদের পথে হেটেছে বহুদিন আগে এবং এখন তারা নিজেদের সন্তানদের অধিকার ফিরে পেতে আইনি পথে লড়াই করছে একে অপরের বিরুদ্ধে। আসলে দীপা যখন নিজের মেয়েদেরকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায় ঠিক তার পরেই সূর্য অনুভব করে যে সে সোনা এবং রুপাকে ছাড়া থাকতে পারবে না। মিশকা তাকে আরো উসকে দেয় এটা বলেছে বিপদে চাকরি করে না তাই সূর্য চাইলেই যদি আইনি পথে এগোয় তাহলে খুব সহজেই মেয়েদের অভিভাবকত্বের অধিকার ফিরে পাবে সে। উৎসাহিত হয়ে পড়ে সূর্য এবং ঠিক সেই পথেই হাঁটে সে।

ওদিকে দীপা এমন বাড়িতে নিজের মেয়েকে পাঠাবে না যে বাড়িতে মিশকার মতো মেয়ে রয়েছে। তাই সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নেয় যে এবার নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সে নিজের মেয়েদের মা হওয়ার যোগ্য সেটা আইনি পথে প্রমাণ করবে আদালতে। এরই মাঝে দেখা গেছে যে বিচ্ছেদের আগেই অর্জুন ফিরে এসেছে যে দীপাকে ছোটবেলা থেকে ভালোবাসতো কিন্তু দীপাকে কোনদিন মনের কথা বলতে পারেনি। আবার ফিরে এসে দিবা কে বিবাহিত অবস্থায় এবং দুই মেয়ের সঙ্গে দেখেও নিজের মনকে আটকে রাখে সে এবং পরবর্তীকালে যখন দীপার সাংসারিক অশান্তির কথা জানতে পারে উর্মীর কাছে তখন পরোক্ষভাবে তাকে সাহায্য করার প্রতিজ্ঞা নেয় অর্জুন মনে মনে।

ওদিকে অর্জনের হারিয়ে যাওয়া মা অর্থাৎ যে মা তাকে ছেড়ে চলে গেছিল খুব ছোটবেলায় সেই মা ফিরে এসেছে। নিজের মেয়েদের ফিরে পেতে দীপা এক নাচের কম্পিটিশনে যোগ দেয় এবং তারই শিক্ষিকা হিসেবে সে পায় অর্জুনের মা পৃথা চক্রবর্তীকে। পৃথা আগেই অর্জুনকে দেখে আন্দাজ করে এটা তারই ছেলে নয় তো? সে বুঝতে পারে অর্জুনের কাছে পৌঁছানোর একমাত্র রাস্তা হল দীপা।

ওদিকে দেখা যায় নাচের কম্পিটিশন জিতে যায় দীপা সূর্য হাজার বাধা দেওয়া সত্বেও। ৫ লক্ষ টাকা জোগাড় করে এসে সূর্যের মুখের উপর ছুড়ে মারে এবং এটাতে হতবাক হয়ে যায় গোটা সেনগুপ্ত পরিবার। ওদিকে মিশক আবার অর্জুনের বিরুদ্ধে এক বড় প্রমাণ পেয়েছে যেটা হল দীপাকে লেখা অর্জুনের কিছু প্রেমপত্র। আসছে ঝড়।

আরও পড়ুন: বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক হোক বা ছেলে-বৌমার ফুলশয্যার খাটে শাশুড়ি, এক ঝলকে এই বছরের সবচেয়ে বিতর্কিত দৃশ্যগুলো!

প্রোমোতে দেখা যায় অর্জুন প্রথমেই সূর্যকে বলে “দীপার অসম্মান হোক আমি সেটা চাই না। কাদা ছুঁড়তে হলে আমার দিকে ছুঁড়ুন ওর দিকে নয়”। মিশকা তাকে বলে কাদাটা তো আপনি আগে ছুড়েছেন। অর্জুন যেই বলে আমার বন্ধুর জন্য সঙ্গে সঙ্গে সূর্য যার কলার ধরে তাকে চাপ দেয় এবং তাকে বলে যে দীপা অর্জনকে ভালোবাসে আর অর্জুন দীপাকে ভালবাসে। এই কথা শুনে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না অর্জুন এবং সে সমস্তটা সত্যি বলে দেয়। সে জানিয়ে দেয় যে ১৮ বছর আগেও দীপাকে সে ভালবাসতো আজো একই রকম ভাবে ভালবাসে সে। অন্যদিকে বাড়ির প্রবেশের দরজায় দাঁড়িয়ে সব কথা শুনে ফেলে। আসছে এক ঘন্টার মহা পর্ব।