সেনগুপ্ত বাড়িতে এখন ঝড় বইছে। একদিকে মিশকা, নিজের সন্তানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এবং সূর্যকে কাছে পেতে চরম প্ল্যান করেছে। আর অন্যদিকে দীপা এবং সূর্যর মধ্যে যেন এক অদৃশ্য দূরত্ব চলে আসছে। এবার কি আবার আলাদা হবে তারা? মিশকা আবার হবে সফল?
মিশকার চরম চেষ্টা
সূর্য আর দীপা যে লন্ডনে যায়নি বাড়িতেই রয়েছে যেটা মিশকা জানতে পারে না। পরে বাড়ি ফিরে এসে সে দেখে ওদেরকে এবং তখন প্রচন্ড রেগে যায়। সে বলে আজ যায়নি কিন্তু পরেও যে যাবে না তার কী গ্যারান্টি আছে? আর এমনটা বলেই সে ছুরি দিয়ে নিজের পেটে কোপ মারে। হাসপাতালে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় মিশকাকে এবং সেখানে জানা যায় তা সন্তান এবং সে অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতিতে রয়েছে।
অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব
আজকের পর্বে দেখা যায় যে প্রিম্যাচিউর বেবি হওয়ায় মিশকার সন্তান অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতিতে রয়েছে। তার জন্য প্রচন্ড চিন্তিত হয়ে পড়েছে লাবণ্য এবং সূর্য। সূর্য জানায় সে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। দীপা নিজে ঠাকুরের কাছে গিয়ে মিশকার সন্তান এবং তার দুই সন্তানের জন্য প্রার্থনা করে। ওদিকে দীপার মা ছুটে ছুটে এসে সেনগুপ্ত বাড়িতে সবার সামনে বলে ফেলে যে মিশকার ছেলে হয়েছে আর সেটা শুনে সোনা রুপা প্রচন্ড রেগে যায়। তারা ভাবতে থাকে যে আবার হয়তো পচা আন্টি তাদের বাড়িতে ফিরে আসবে।
এরপর দেখা যায় যে অর্জুন বিদেশ থেকে কলকাতা ফিরে আসে বিমানবন্দরে নামে এবং নিজের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যায়। ইউনিয়নের আয়োজন করেছে এবং দীপা মজুমদার আর উর্মী মজুমদারকেও পাঠানো হয়েছে নিমন্ত্রণ। দীপার কথা শুনে অর্জন জিজ্ঞাসা করে নিমন্ত্রণ তো পাঠানো হয়েছে কিন্তু সে কি আসবে? তার এক বন্ধু বলে মন থেকে চাইলে সবকিছু পাওয়া যায়। ওদিকে দেখা যায় দীপা যখন পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রচন্ড চিন্তিত ঠিক তার মাঝেই তার দুই পুরনো বন্ধু আসে তার শ্বশুরবাড়িতে। তারা এই ইউনিয়নের জন্য নিমন্ত্রণ পত্র পাঠিয়ে যায় দীপা এবং উর্মীকে। দীপা আমতা আমতা করে। আর ঠিক তখনই কাকিয়া বলে আসলে তাদের পারিবারিক এক বন্ধু অসুস্থ তাই সবাই সেটা নিয়ে এখন চিন্তিত।
ওদিকে হসপিটালে দেখা যায় ডাক্তার বলল এখন বাচ্চা এবং মা দুজনেই সুস্থ আছে আর সূর্য চাইলে আজই ছুটি করিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে পারে। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা শুনে চমকে ওঠে সূর্য এবং লাবণ্য। তাহলে কি আবার মিশকা এবং তার সন্তান সেই সেনগুপ্ত বাড়িতেই জায়গা নেবে?