Leena Ganguly Trolled: বারবার গল্পে ভালো ছেলেগুলোর কপাল পুড়িয়ে লালন-অনুজের মত লুচ্চাদের দাম দেয় লীনা পিসি ! যুধা বা অঙ্কুরের ভাগ্য দেখে আফসোস করছে দর্শক
স্টার জলসার একটি অত্যন্ত চর্চিত ধারাবাহিক হলো ‘গুড্ডি’। এই ধারাবাহিকের গল্প প্রথম দিকে কিছুটা অন্যরকম ছিল কিন্তু যতদিন এগোয় তত অন্য প্রকারের হতে শুরু করে। যার ফলে দর্শকরা রাত দিন নানা রকম কথা বলতে শুরু করে এই ধারাবাহিকের গল্প নিয়ে। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রোল করতেও ছাড়ে না।
প্রসঙ্গত গল্পের শুরুতে দেখা গিয়েছিল নায়ক নায়িকার পরিস্থিতির চাপে পড়ে বিয়ে হয় কিন্তু অনুজ অন্য একজনকে ভালোবাসে যার জন্য সে কিছুতেই গুড্ডিকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারে না। তাদের দুজনের ডিভোর্স হয় তারপর অনুজ শিরিনকে বিয়ে করে। তবে বিয়ের পরে তার মনে হয় যে সে গুড্ডিকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না। তাই অনুজ তখন আবার গুড্ডির কাছে ফিরে আসতে চায়।
এই নিয়ে গল্প বেশ অনেকদিন ধরে চলছিল কিন্তু তারপরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তরা নানারকম কথা শুরু করতেই গল্পের মোড় ঘুরে যায়। এবং গল্পে প্রবেশ করে আরো এক নতুন চরিত্র যার নাম যুধাজিৎ। আর সে গুড্ডিকে বিয়ে করতে চায় তার অতীত সবটা জেনে। গুড্ডিও অনুজ এবং শিরিন যাতে ভালো করে সংসার করতে পারে সেই ভেবে যুধাজিৎকে বিয়ে করতে রাজি হয়। কিন্তু অনুজ এই বিয়েতে কিছুতেই মত দিচ্ছিল না। এরপর যুধাজিৎ আর গুড্ডি যেদিন বিয়ের পিঁড়িতে বসে সেদিন অনুজ অ্যাক্সিডেন্ট করে। আর সেই খবর বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার আগেই গুড্ডি’র কাছে এসে পৌঁছায়। তখন গুড্ডি বিয়ের মন্ডপ ছেড়ে চলে যায় অনুজের কাছে।
তার পিছন পিছন যুধাজিৎ যায়। কিন্তু এবার এই গল্পের মোড় দেখে এবং যুধাজিতের চরিত্রটিকে দেখে দর্শক আরো একটি ধারাবাহিকের চরিত্রের কথা মনে করছে। প্রসঙ্গত লীনা গাঙ্গুলীর আরো একটি ধারাবাহিক ‘ধূলোকণা’ কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে। যেখানে ফুলঝুরিকে ভালবাসত অঙ্কুর কিন্তু শেষে লালনের সঙ্গেই ফুলঝুরির মিল হয় আর অঙ্কুর একাই থাকে। তাই এবার এই দুই চরিত্রের জন্য দর্শকদের খারাপ লাগছে।
তাই এক নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছে,”এক ব্যর্থ প্রেমিক গেল সবে একমাস দু-তিন দিন হয়েছে ।
আবার আরেকজন এসে গেল l
যুধাজিৎ এখনও পুরোপুরি ব্যর্থ হয়নি দেখা যাক কি হয়।
তবে এখনও অঙ্কুরের জন্য খারাপ লাগে মনে পড়লে আর তার ওপর যুধাজিৎ জুড়ে গেল।
এটাই অবাক লাগে বারবার লেখিকার গল্পে এরকম সুন্দর ভালো ছেলে গুলোর কপাল পুড়িয়ে লালন অনুজের মতো ছেলেদের দাম দেয় কেন ভগবানই জানে। কি সুখ পায় এটা করে তিনিই জানেন।”