Panchami: নিজের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এবার খলনায়িকা কালনাগিনীর রূপ ধরল পঞ্চমী! “এতদিনে নিজের ফর্মে ফিরে এসেছে নিরীহ ইচ্ছাধারী সাপ পঞ্চমী”, কিঞ্জলকে বাঁচাতে পঞ্চমীর বুদ্ধি দেখে অবাক দর্শক

বাংলা টেলিভিশনের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো স্টার জলসার ‘পঞ্চমী’। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যায় অভিনেতা রাজদীপ গুপ্ত এবং অভিনেত্রী সুস্মিতা দেকে। পঞ্চমী ধারাবাহিকের গল্প গড়ে উঠেছে অলৌকিক কাহানি অনুসারে। যেখানে নায়িকা পঞ্চমী একজন ইচ্ছাধারী নাগিনী। তবে জন্ম থেকে সে মানুষদের মধ্যে বড় হয় যার ফলে সে তার নিজের পরিচয় জানতো না। কিছুদিন আগেই সে তার নিজের আসল পরিচয় জানতে পেরেছে।

উল্টো দিকে ধারাবাহিক শুরুর প্রথম দিকে দেখানো হয়েছিল পঞ্চমীর মাকে কারা খুন করেছে। যার ফলে প্রথম থেকেই নাগ মাতারা চায় পঞ্চমী সেই খুনের প্রতিশোধ নিক। উল্টোদিকে নায়ক কীঞ্চলের গলায় একটি শঙ্খের মালা রয়েছে যেমন মালা পঞ্চমীর মায়ের খুনির গলায় ছিল। যার জন্য পঞ্চমীর মায়ের খুনি কীঞ্জল এবং তার গুরুদেবকে ভাবে নাগ মাতারা। তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে কীঞ্জলের ক্ষতি করার কিন্তু পঞ্চমী কিছুতেই কীঞ্জলের কোন ক্ষতি হতে দেবে না। এই নিয়ে গল্প এখন জমজমাটের রূপ নিয়েছে।

সম্প্রতি পঞ্চমী নিজের শক্তি জানার সাথে সাথে রূপ পরিবর্তন বা নাগ রূপে যাওয়া থেকে মানুষ রূপে ফিরে আসা সবকিছুই শিখে গেছে। আর সে তার বাবাকে উদ্ধার করতে গিয়েছে নাগ লোকে সেখান থেকে তার বাবাকে সে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। উল্টোদিকে কীঞ্জলকে মারার জন্য নাগ মাতা এবং চিত্রা অর্থাৎ কালনাগিনী ছদ্মবেশে তাদের বাড়িতে এসেছে। এখন চিত্রার সঙ্গে কীঞ্জলের বিয়ের তোড়জোড় করছে কীঞ্জলের বাড়ির লোক।

আর এই উদ্দেশ্যে চিত্রাকে কিছুতেই সফল হতে দেবে না পঞ্চমী, যার জন্য সে চিত্রার সঙ্গে লড়াই পর্যন্ত করেছে। সম্প্রতি একটি পর্বে দেখা গেছে চিত্রার রূপ নিয়ে পঞ্চমী নিজের কার্যসিদ্ধি করেছে। চিত্রার মানব রূপ ধারণ করে কীঞ্জলের মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিয়েছে, যতদিন না কীঞ্জল এবং চিত্রার বিয়ে হচ্ছে ততদিন পঞ্চমী যেন তাদের বাড়িতেই থাকে।

 

আর এই জমজমাট পর্ব দেখে দর্শকরা খুশি হয়ে গেছে তারা বলছে এখন প্রতিদিনই পঞ্চমীর পর্ব দারুন হচ্ছে। তাই এখন কেউই পঞ্চমীকে টিআরপি তালিকায় হারাতে পারবে না। প্রথমে ঠিক যেমন ফল করছিল আবার তেমন ফল করতে দেখা যাবে। তবে এবার শুধু পরবর্তী দিনে দেখার কতটা ভালো ফল করতে পারে পঞ্চমী এই নতুন অবতার নিয়ে!

Back to top button