Gungun-Fuljhuri: টেলিভিশনের ২ ক্যান্সার আক্রান্ত বউ গুনগুন এবং ফুলঝুরি! গুনগুন বেশি সুখী আর ফুলঝুরি তো সুখের মুখই দেখল না! শুরু হলো তুলনা

বাংলা টেলিভিশনে এমন বেশ কিছু ধারাবাহিক রয়েছে যেগুলোর গল্প ভালো দিয়ে শুরু হলেও শেষ হয় দুঃখের গল্প দিয়ে। কিছুদিন আগে লেখিকা লীনা গাঙ্গুলীর একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খরকুটো’ শেষ হয়েছে ঠিক এমনই একটি পর্যায় দিয়ে। যেখানে একদম শেষে দেখা গেছে ধারাবাহিকের নায়িকা গুনগুন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

সেই গল্পের শুরুটা ছিল সত্যিই সুন্দর। একটি উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে যে ছোটবেলা থেকে মাকে পায়নি বাবার কাছেই বড় হয়েছে। কিন্তু তার বাবা চেয়েছিল মেয়ে এমন একটি পরিবারে বিয়ে হয়ে যাক যেখানে সে একটি যৌথ পরিবারের ভালোবাসা পাবে।

আর গল্পের নায়ক বাবিন ছিল এমনই একটি পরিবারের ছেলে যেখানে সকলেই খুব মিলেমিশে থাকে। গল্পটি শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বিয়ে হয় এবং আস্তে আস্তে সেই পরিবারের সঙ্গেই একেবারে মিলেমিশে যায় গুনগুন। কিন্তু শেষটা এমন দুঃখের দেখে দর্শকরা সত্যিই দুঃখ পেয়েছিল।

সেই ধারাবাহিকের কষ্টটা দর্শকদের মধ্যে থেকে কাটিয়ে ওঠার আগেই আবার লীনা গাঙ্গুলীর একটি ধারাবাহিক কিছুটা একই রকম ভাবে শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্তু এই গল্পের শুরুটাও ছিল দুঃখ নিয়েই। বুঝতে পারছেন এখানে ধারাবাহিক ‘ধুলোকনা’র কথা বলা হচ্ছে।

এই ধারাবাহিকে শুরুর প্রথম থেকেই দেখা গেছে নায়িকা ফুলঝুরির জীবনের কষ্ট। সে তার বাবা-মায়ের জন্য রাত দিন এক করে খেটে পয়সা উপার্জন করত কিন্তু মাঝপথে জানতে পারল তারা আসলে তার আসল বাবা মা নয়। তারপরে তার জীবনে আসে লালন কিন্তু সেই লালনকে পাওয়ার জন্যই প্রথমে চড়ুই, তারপরে লালনের পরিবার এই নিয়ে নানা রকম বাধার সম্মুখীন হল।

মাঝে কিছুটা স্বস্তি পেল, নিজের আসল বাবা মাকে ফিরে পেল, লালনের সাথে সুখের সংসার করার স্বপ্ন নিয়ে বিয়ে করল। কিন্তু তার কিছুদিনের মধ্যেই লালনও আবার সবকিছু ভুলে গিয়ে তাকে আর মেনে নিতে পারল না। এখন লালন ফুলঝুরিকে ভুলে গিয়ে তিতিরের সঙ্গে সংসার বাঁধতে চলেছে।

কিন্তু শেষে যখন ফুলঝুরি নিজের জীবনে কিছু করার অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছিল তখনই তার জীবনে মরণ রোগ বাসা বাঁধলো। আর যতদূর শোনা যাচ্ছে মৃত্যু দিয়েই শেষ হতে চলেছে এই ধারাবাহিক।

তাই এই ধারাবাহিকের শেষটা এতটা দুঃখের না হলেই পারতো এমনটাই মনে করছে দর্শকরা। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন যে গুনগুন এবং ফুলঝুরির শেষটা একই রকম হলেও গুনগুনতো তাও নিজের জীবনে অনেকখানি ভালোলাগা আর সুখ নিয়ে বেঁচে ছিল কিন্তু ফুলঝুরির জীবন শুরুর থেকে শেষ অব্দি পুরোটাই দুঃখের মধ্যে কেটে গেল।