টানা এক বছর ধরে দর্শকদের ভিন্ন স্বাদের গল্প পরিবেশন করলো স্টার জলসার ‘আয় তবে সহচরী’ ধারাবাহিক। শিক্ষামূলক এই ধারাবাহিক প্রথম থেকেই দর্শকদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল তার স্বতন্ত্র গল্পের জন্য। এ ধরনের গল্প বাংলা টেলিভিশনের পর্দা এর আগে খুব কম দেখা গিয়েছে বলে মনে করে দর্শকরা। পাশাপাশি শাশুড়ি-বৌমার তথাগত কেমিস্ট্রি একেবারে অন্যরকম এখানে।
সম্পূর্ণ পারিবারিক একটা গল্প এবং শিক্ষামূলক বার্তা দিয়ে শুরু করা হয়েছিল ধারাবাহিক। তবে টিআরপি তোলার জন্য আর পাঁচটা সাধারণ ধারাবাহিকের মতই পরবর্তী দিনে কুটকাচালি, পরকীয়াকে টেনে ঢোকানো হয় যেটা একেবারেই ভালো লাগেনি দর্শকদের। গত এক বছরে দর্শকদের থেকে ভালোবাসা-সমালোচনা দুইই পেয়ে সমৃদ্ধ হয়েছেন কনীনিকা ব্যানার্জির মতো অভিনেত্রী।
এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়েই দীর্ঘদিন পর ছোটপর্দায় দেখা গিয়েছিল এই স্বনামধন্য অভিনেত্রীকে। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি তিনি যে হঠাৎ করে বিদায় নিয়ে নেবেন সেটা ভাবতে পারেনি দর্শকরা। বিগত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘আয় তবে সহচরী’ বন্ধ হওয়া নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গল্প শোনা গেছে। তবে এটা সত্যি যে ধারাবাহিক শেষ হয়ে গেল।
ধারাবাহিক শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ দিনের শুটিং সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিল কলাকুশলীরা। কেক কেটে দিনটা স্পেশাল করে তুললো পরিবারের সবাই মিলে। বরফি, টিপু, দেবিনা এবং অন্যান্য সেটের সদস্যদের হাসিমুখে কেক কাটতে দেখা গেলো। ছবি ভিডিও সবকিছু এখন ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সকলে ‘আয় তবে সহচরী’র টাইটেল সং গাইতে গাইতেই কেক কাটলেন। মুখে হাসি থাকলেও মন যে ভারাক্রান্ত সেটা আর আলাদা করে বলার দরকার নেই। বরফি ওরফে অরুনিমা হালদারসহ শুটিং ফ্লোরের বাকি সদস্যদেরও এদিন ধারাবাহিকের সাজপোশাকেই দেখা গেলো। আর কেক কাটার পরেই হল শেষ দৃশ্যের শুটিং।
তবে পরিবারসহ দর্শকরা সবাই মিস করলো একজনকেই আর সে হলো সহচরী। শুটিং ফ্লোরে আসতে পারছেন না কারণ কনীনিকা ব্যানার্জি অসুস্থ। সম্প্রতি দক্ষিণ ভারত থেকে অপারেশন করে ফিরে এসেছেন। আর এর থেকেই অনেকে বারবার প্রশ্ন করেছে যে তাহলে কি নায়িকার জন্যই হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হলো ধারাবাহিক? আপাতত বরফি-সহচরীর কেমিস্ট্রিটা মিস করবে দর্শক।