চাপের জেরে স্ট্রোক হল ভাইরাল নন্দিনী দিদির! কেমন আছেন? “অল্পেতে খুশি থাকুন!” প্রতিক্রিয়া নেটিজেনদের!
খুব কম সময়েই নেট দুনিয়ায় বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া এবং ফুড ব্লগারদের দৌলতে ডালহৌসির একটি ছোট পাইস হোটেলের মালকিন, বর্তমানে হয়েছেন তিন তিনটি দোকানের মালিক। তবে শিকড় ছাড়েননি এখনও। ডালহৌসির ওই দোকানটি ছাড়াও বর্তমানে কলকাতার নিউ টাউনেও আরও দুটি দোকান কিনেছেন তিনি। তার একটি দোকান রয়েছে ডিএলফ এবং আরেকটি আকাঙ্ক্ষা মোড়ে। তবে দোকানগুলোর প্রত্যেকটি বেশ জমজমাট।
তবে কি কাজের চাপের কারণেই ঘটল এরকম দুর্ঘটনা? করোনার চলাকালীন লকডাউনে কলকাতার ডালহৌসি ফুটপাতে জিন্স টপ পড়ে কানে ব্লু টুথ হেডফোন দিয়ে নন্দিনীদির ভাতের হোটেল বেশ সারা ফেলেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর তিনি গিয়েছিলেন দিদি নম্বর ওয়ানে। এখন তিনটে হোটেলের পাশাপাশি তিনি পরিচয় পেয়েছেন অভিনেত্রীর। যদিও নিজের ব্যবহারে কারণে অনেকবার ট্রোলের শিকার হয়েছেন তিনি। বর্তমানে এই ইস্মার্ট দিদি নিজেই খুলেছেন নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল।
সম্প্রতি নন্দিনী দির বাবা একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন মেয়ের শরীর নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। সরস্বতী পূজার দিন স্ট্রোক হয়েছে তার মেয়ের। বেঁকে গেছে শরীরের একটি পাশ। এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি তিনি। কোনও দোকানেই যাচ্ছেন না, বাড়িতে বসেই বিশ্রাম নিচ্ছেন বর্তমানে। এরপর সুস্থ হয়ে নন্দিনী দি কাজে ফিরতেন তাকে ঘিরে ধরে ইউটিউবাররা।
তিনি জানিয়েছেন সরস্বতী পূজার দিনই শরীর খারাপ লাগছিল তার। ডাক্তারের কাছে যেতেই তিনি জানতে পারেন মাইল্ড স্টোক হয়েছে তার। কাজের চাপ এবং দুশ্চিন্তার কারণেই এমনটা হয়েছে দাবি করেছেন তিনি। এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন “সুস্থ না থেকে উপায় নেই। জীবন থেমে থাকে না। ১৪ তারিখ সকালে পেটখারাপ হয়ে ছিল। ২৫-৩০ বার বাথরুমে গেছি। খুব শরীর খারাপ লাগছিল। তবে এখন অনেকটাই সুস্থ। তবে শরীরে ওপর একটা প্রভাব তো পড়েই। মানসিক চাপও ছিল তাই হয়তো।”
যদিও নন্দিনী দির অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে কমেন্টের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই বলেছেন “অল্পে খুশি থাকুন, বেশি চিন্তা করলে বাড়বে মানসিক চাপ আর রোগ।” অনেকে এও বলেছেন “এত কম বয়সে স্ট্রোক! ভগবান আপনার মঙ্গল করুন।” আবার অনেকেই করেছেন তাকে ট্রোল। লিখেছেন “পেট খারাপের পর স্ট্রোক! বিষয়টা ঠিক হজম হল না বস।” অনেকে আবার বলেছেন “নিউ টাউনের দোকান বন্ধ নাকি ডালহৌসির দোকান থেকে ভিডিও করছেন!” সব মিলিয়ে বলাই যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ শোরগোল পড়েছে নন্দিনী দির অসুস্থতা নিয়ে।