জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) শিমুল ফিরে আসার পর অনুশোচনায় ভুগতে থাকে পরাগ। সে বারবার মনে করতে থাকে সে শিমুলের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেছে যার ফলস্বরূপ শিমুল জানিয়ে দিয়েছে সে আর ভালোবাসে না পরাগকে। ওদিকে শুরু হয়ে গেছে পুতুলের বিয়ের তোড়জোড়।
তবে তীর্থঙ্কর এবং তার বৌদির সম্পর্ক নিয়ে খটকা লেগেছে শিমুলের আর বিপাশার। আশীর্বাদের সময় পুতুল তার মাকে “মা বুড়ি” বলে ডাকায় পুতুলের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা শুরু করে তীর্থঙ্করের বৌদি। কিন্তু তার প্রতিবাদ করে শিমুল, পরাগ এবং মধুবালা দেবী। পরাগকে তার দিদির হয়ে করা বলতে দেখে অবাক হয় সকলেই। তারপর আশীর্বাদ মিটলে, শিমুল চলে আসে বিপাশার বাড়ি।
সেখানে চন্দনের জন্য চা নিয়ে যাওয়ার সময় শিমুল শুনে নেয় যে চন্দন বিপাশাকে ঠকিয়েছে। এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম মধুরিমা এবং তাদের একটি সন্তানও আছে। তারপর শিমুলের জন্য জল আনতে বলে, সে চন্দনের ফোন থেকে সব চ্যাট পরে নেয়। তারপর সেই বিষয়ে জানায় সুচরিতা এবং শীর্ষাকে। শিমুল গিয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করে মধুরিমা ব্যপারে। তারপর সবটা জানায় বিপাশাকে।
কথাটা শুনে বজ্রাঘাত হয় বিপাশার মাথায়। সে বারবার প্রশ্ন করতে থাকে শিমুলকে। চন্দনও ভালোবাসার অভিনয় শুরু করে বিপাশার সামনে এসে বলে সে বিপাশাকে ভালোবাসে। বিপাশা শিমুলকে বলে সে হয়তো ভুল বুঝছে কিন্তু শিমুল তার কথায় অনড়। চন্দন বিপাশাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে যেহেতু তার বিয়েটা ভেঙেছে তাই সেও চাইছে বিপাশার বিয়ে ভাগুক। তখন মধুরিমার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে শিমুল।
প্রথমে মধুরিমার নাম শুনে হকচকিয়ে গেলেও পরে নিজেকে সামলে চন্দন বলে সে চেনে মধুরিমাকে। মধুরিমা তার কলেজের বন্ধু তাই তার সঙ্গে কথা হয় দেখা হবে সেই হয়তো শিমুল ভুল বুঝেছে। বিপাশাও মেনে নেয় চন্দনের সব কথা। আর শিমুলকে বলে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে। শিমুলও মনে মনে ভেবে নেয় সে চলে যাবে কিন্তু প্রমাণ করে দেবে যে চন্দন বিপাশাকে ঠকাচ্ছে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের শিমুল কি পারবে সবটা প্রমাণ করতে?