ইতিহাস শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করে ফাঁসিয়ে দিল বোধিসত্ত্ব!আবার ম্যামের নামেই কমপ্লেন করে দিল হেড স্যারের কাছে! জমে গেছে বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি

জি বাংলায় যে নতুন ধরনের ধারাবাহিক শুরু হয়েছে তার মধ্যে এতদিন অবধি ছিল লালকুঠি। তবে বর্তমানে একটি বাচ্চা ছেলের না কাণ্ডকারখানা নিয়ে শুরু হয়েছে আরো একটি নতুন ধারাবাহিক যার নাম বোধিসত্বের বোধ বুদ্ধি। সাংসারিক জটিলতা বা পরকীয়া ছাড়া একেবারে ভিন্নমাত্রার ধারাবাহিক নিয়ে জনগণের মধ্যে উৎসাহ ছিল প্রথম থেকেই তুঙ্গে।

তবে হাসি মজা যতই থাকুক না কেন এই ধারাবাহিকে তার পাশাপাশি রয়েছে শিক্ষামূলক একটি গল্প। আসলে ধারাবাহিকে বোধিসত্ত্ব নামের যে বাচ্চা ছেলেটিকে দেখানো হবে তার কৌতুহল বা যাকে বলে জানার আগ্রহ সেটা খুব বেশি। তাই সে সকলকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে বসে। অনেকে তার উত্তর দিতে পারে আবার অনেকে ভিরমি খেয়ে যায়।

ধারাবাহিকে সম্প্রতি যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে নিজের স্কুলের ইতিহাস বিষয়ের শিক্ষিকাকে একটি বিশেষ প্রশ্ন করে বসেছে বোধিসত্ত্ব। ম্যামের নাম অন্তরা। তার নামে আবার স্কুলের হেড টিচারের কাছে নালিশ ঠুকে এসেছে ছোট্ট বোধি।

আসলে বোধি পড়াশোনার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চায়। কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষিকা পড়ার বইয়ের পাতার বাইরে একটা কথাও বলতে রাজি নন। তাই ছেলেটি তার স্কুলের হেড টিচারকে বলে ইতিহাস মানে তো প্রাচীন যুগের গল্প, রাজ-রাজাদের কাহিনী। তারও আগে এগিয়ে গেলে প্রাচীন যুগের ইতিহাস যেখানে ডাইনাসোর দেখা যায়। এদিকে তার শিক্ষিকা বলেছে ডাইনোসর নাকি জীববিজ্ঞানের মধ্যে পড়ে।

এর উত্তরে শিক্ষিত হয় রেগে গিয়ে বলে বসেন বাঁদর ছেলে। উত্তরে বোধিসত্ত্ব বলে আসলে আমরা সবাই বাঁদর। কারোর বিবর্তন একটু বেশি হয়েছে আর কারোর কম। ম্যাম তো ১১ টা ২৫ এ আসেন। এই কথা শুনে উত্তরা ম্যাম রেগে গিয়ে বলেন মিথ্যা কথা বলছে সে। তিনি আবার দাবি করেন তিনি ১১টা ২০তে ক্লাসে ঢুকে যান। তখন বোধিসত্ত্ব সঙ্গে সঙ্গে বলে ক্লাস তো শুরু হয়ে যায় এগারোটা থেকে।

এরপরেই শিক্ষিকা রেগে গিয়ে বলে বসেন এতদিন শিক্ষা দীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন করত আর এখন সময় জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করছে সে। পাশাপাশি শিক্ষিকা দাবি ক্লাস ফোরের সিলেবাসে রয়েছে প্রাচীন যুগের ইতিহাস আর ও জানতে চাইছে আধুনিক যুগের ইতিহাস। বোধিসত্ত্ব প্রশ্ন করেছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন স্টুডেন্ট ছিল?

 

View this post on Instagram

 

A post shared by mithai prem (@mithailoves)

শিক্ষিকা বলেন তিনি এর উত্তর জানেন কিন্তু তিনি কেন বলবেন? সিলেবাসের বাইরে তিনি কোনদিন পড়াশোনা করাননি আর তাই এখনও সেটা করবেন না।

অর্থাৎ শিক্ষিকাকে রীতিমতো জব্দ করে দিল এই ছোট্ট ছেলেটি। এই নিয়ে ইতিমধ্যে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সকলে তৈরি হয়ে বসে আছে কবে বোধিসত্ত্ব আসবে তাদেরকে শিক্ষা দিতে।