স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’-তে (Chiroshokha) বর্তমানে চলছে নানা নাটকীয় মোড়। পার্বতীর আগমনে যেখানে গল্পে যুক্ত হয়েছে নতুন বিতর্ক, সেখানে পুরনো কিছু চরিত্রের প্রতি দর্শকদের মনোভাবেও বদল দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে কমলিনীর বড় ছেলে ‘বুবলাই’কে এতদিন অপছন্দ করত, এখন ধীরে ধীরে সেই ঘৃণার জায়গা থেকে সহানুভূতির আসনে চলে আসছে! শুরু থেকে বুবলাইয়ের আচরণ, বর্ষার সঙ্গে বিয়ের পর মাকে বারবার অপমান করা, স্বতন্ত্রকে অবমাননা করা, কিংবা আত্মকেন্দ্রিকতা দর্শকদের চোখে এক ‘নেতিবাচক’ চরিত্র হিসেবে গড়ে তুলেছিল।
তবে সাম্প্রতিক পর্বগুলোয় দেখা যাচ্ছে এক নতুন বুবলাইকে! নিজের ভুলগুলো বুঝে নেওয়া, পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা ফিরে পাওয়া এবং মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও অনুশোচনার প্রকাশ— এই পরিবর্তনই দর্শকদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিচ্ছে। ধরাবাহিকের বর্তমান পর্বে যেখানে কমলিনী টিউমার অপরেশন করাতে গিয়ে প্রায় মৃ’ত্যুমুখে দাঁড়িয়ে, সেখানে সবথেকে বেশি ভেঙে পড়তে দেখা যাচ্ছে বুবলাইকেই। কারণটা খুবই স্পষ্ট, এতদিন মায়ের সঙ্গে অভিমান থেকে অপমান সবই করেছে সে। এর জন্য ক্ষমা চাইতে পারেনি বা চায়নি কখনওই।
কখনওই মন খুলে ভালোবাসতেও পারেনি, মেনে নিতে পারেনি স্বতন্ত্রর সঙ্গে মায়ের সুখ। এর জন্য অবশ্য পুরোপুরি দোষ বুবলাইকেই দেওয়া যায় না। একজন মুখচোরা ছেলে হিসেবে সে বরাবরই চেয়ে এসেছে, সমাজে যেন কেউ তার মাকে নিয়ে খারাপ কিছু না বলে। মূলত তাই স্বতন্ত্রকে সে পছন্দ করত না। আজ যেহেতু স্বতন্ত্র পার্বতীকে বিয়ে করে সংসার পেতেছে, বুবলাইয়ের আর কোনও রাগ বা অভিমান নেই। স্বতন্ত্রকেও সে আগের মতোই শ্রদ্ধা করতে শুরু করেছে।
আজ যেহেতু কমলিনীর থেকে সম্পত্তি ফিরিয়ে নেওয়ার মিথ্যে কথা বলে স্বতন্ত্র রেজিস্ট্রির কাগজে সই করিয়েছে, সত্যিটা না জেনেই সবাই স্বতন্ত্রকে কটাক্ষে বিদ্ধ করছে। বিশ্বাসঘাতক, প্রতারক— আরও কতকিছু শুনতে হচ্ছে তাকে। মানসিক এবং শারীরিক ভাবে সে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছে, পরিবারের সবার কাছ থেকে শুনতে শুনতে যে কমলিনীর এই অবস্থার জন্য সে-ই দায়ী। এই অবস্থায় পাশে একমাত্র দাঁড়াচ্ছে বুবলাই! সে সবাইকে সাবধান করে দিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ “সাধক রামপ্রসাদের বংশধর স্বামী কাঞ্চন মল্লিক”— দাবি স্ত্রী শ্রীময়ীর! ‘বহুবিবাহ প্রথা চালু করা লোকটা নাকি সাধক বংশের!’ ‘স্ত্রী-সন্তান ত্যাগ করেছে, কুলা’ঙ্গার ছাড়া আর কিছুই না!’—ইতিহাস শুনেই অভিনেতাকে তীব্র কটাক্ষ নেটিজেনদের !
অতীতে স্বতন্ত্রর হার্টের সমস্যা থাকায় সেও কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে এইসব কথায় উত্তেজিত হয়ে। এদিকে স্বতন্ত্রকেও বোঝাচ্ছে যে, বাড়ির সবার মাথার ঠিক নেই বলে এসব বলছে তাকে। বুবলাইয়ের এই মানবিক আবেদন দেখে কেউ কেউ বলছেন, “বুবলাই এখন বাস্তব জীবনের মতোই এক জটিল মানুষ— ভুল করে শিখেছে, আবার সংশোধনও করছে।” এই পরিবর্তনই তাকে এখন এক আদর্শ চরিত্রে পরিণত করছে, আর সেই কারণেই অনেক দর্শক আজ তাকে ঘৃণা নয়, বরং সহানুভূতির চোখে দেখতে শুরু করেছেন।






