এবার সমস্যায় মুশকিল আসান করা বিপাশা! তাকে ঠকিয়ে নতুন বিয়ে করে সংসার পেতেছে তার স্বামী চন্দন! কী করবে শিমুল?

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) চলছে পুতুলের বিয়ের তোড়জোড়। শিমুলও বলেছে সে পুতুলের বিয়ের জন্যই আসবে ব্যানার্জী বাড়িতে। তবে এই বাড়ির বউ হিসেবে সে ফিরবে না কখনও। ওদিকে তীর্থঙ্করের বৌদি বিষয়ে সন্দেহ করছে শিমুল। পুতুলের আশীর্বাদ শুরু হয়ে গেছে তখন পাড়া প্রতিবেশিরা বলতে থাকে “দেখও বাবা এমন মেয়েকে তো বিয়ে দিচ্ছে আবার বিয়ের পর ফিরে চলে না আসে তখন কিন্তু আবার তোমাদের অন্য সমস্যা হবে।”

সেই কথার প্রতিবাদ করে মধুবালা দেবী বলে যদি আপনারা ভালো কথা বলতে না পারেন তবে দয়া করে খারাপটাও বলেন না, অনুষ্ঠান দেখতে এসেছ অনুষ্ঠান দেখ।” তারপর পুতুল বলে ওঠে মা বুড়ি আমরা কখন খাব তখন তীর্থঙ্করের বৌদি বলে ওঠে “বাহ ভালো শিক্ষা তো মাকে মা বুড়ি বলে ডাকছে আবার তুইতুকারিও করছে। জানিয়ে না তীর্থঙ্কর কেন এরকম একটা মেয়েকে বিয়ে করতে চাইল এর থেকে কত ভালো মেয়ে পেয়ে যেত ও।”

তীর্থঙ্করের বৌদির মুখ থেকে এইসব কথা শুনে পুতুল বলে “হ্যাঁ আমি মাকে এইভাবেই ডাকি।” তারপর তীর্থঙ্করের বৌদির কথার প্রতিবাদ করে শিমুল বলে “পুতুল দি খুব ভালো মেয়ে, দয়া করে তার এবং তার মায়ের সম্পর্কের মধ্যে আপনি ঢুকবেন না।” পরাগও শিমুলের কথাকে সমর্থন করে বলে “আমার দিদি খুব ভালো আমাদের বড়ও, অসুস্থ হওয়ায় ও বেশি দূর পড়াশুনা করা আমাদের মত চাকরি করতে পারেনি ঠিকই তবে ওর মতো মেয়ে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমি খুব ভাগ্যবান ওর মতো দিদি পেয়েছি।” পরাগের কথা শুনে অবাক হয়ে সকলে ভাবে এত পরিবর্তন কিভাবে এল ওর মধ্যে।

তখন তীর্থঙ্করের বৌদি বলে “হ্যা সে তো জানি আর এরকম পড়াশোনা না জানা, কথাও ঠিক করে বলতে না পারা মেয়ের সঙ্গে জানি না কি করে তীর্থ থাকবে।” সেই কথার প্রতিবাদে মধুবালা দেবী বলে যে তারা যায়নি তীর্থঙ্করের বাড়ি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে, সে নিজে এসেছিল। তাই এই বিয়ে হচ্ছে।” তখনই পুতুল ভাবতে থাকে বিপাশার কথা। ভাবে তার জন্য হয়ত বিপাশার খুব সমস্যা হচ্ছে তাই সে এবার বিপাশাকে বলবে তার স্বামীর সঙ্গে থাকতে।

এই কথায় ভাবতে ভাবতে শিমুল চলে যায় বিপাশার ঘরের দিকে। তখনই গলা ভেসে আসে বিপাশার স্বামী চন্দনের। কোনও কথা শুনবে না ভেবেই এগিয়ে যায় সে কিন্তু বিপাশার ছেলের কথা শুনে দাড়িয়ে পর। চন্দন ফোন করা বলছিল কারুর সঙ্গে এবং বলছিল যে বিপাশার পাড়ায় দাপটের জন্য সে কিছু করতে পারছে না। তবে খুব শীঘ্রই সে তাকে নিয়ে আসছে তার বাড়িতে বা নিজে চলে যাবে। এই ধরনের কথা শুনে শিমুল চমকে ওঠে আর ওর হাত থেকে চায়ের কাপ পরে যায়।

আওয়াজ শুনে সেখানে চলে আসে বিপাশার শাশুড়ি এবং চন্দন। সে সন্দেহ করে শিমুল কিছু শুনেছে কিন্তু টেবিলে ফোন রেখে চলে যায় শিমুলের জন্য জল আনতে। তখন শিমুল ফাঁক পেয়ে চন্দনের ফোন থেকে জেনে যায় যে চন্দন আবার বিয়ে করেছে। সেই কথা শুনে মাথায় বাজ করে শিমুলের। সুচরিতা আর শীর্ষা সেখানে আসলে শিমুল তাদের জানিয়ে দেয় সব ঘটনা এবং প্রমাণ দেখায় যেটা দেখে হকচকিয়ে যায় সকলের। তবে কি হবে এবার বিপাশার?

You cannot copy content of this page