জি বাংলার (Zee Bangla) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথায়’ (Kar Kache Koi Moner Kotha) সমাজের বাস্তব চিত্রটি বারংবার ফুটে উঠেছে। এর আগে বিয়ের পর অত্যাচার, অপমানের শিকার হতে দেখা যায় ধারাবাহিকের নায়িকা শিমুলকে।শ্বশুরবাড়ির অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখেও দাঁড়ায় সে। কিন্তু তাও রেহাই মেলেনি। মিথ্যে অভিযোগে জেলে যেতে হয়েছিল তাঁকে। শিমুলের পড়শি বন্ধু বিপাশা দি সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁর। আর এবার কিনা তাঁর স্বামীই পরকীয়ায় অভিযুক্ত!
সদ্য আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে শিমুল। শিমুলের দেওর পলাশ ও তাঁর স্ত্রী প্রতীক্ষা যৌথ ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়েছিল তাঁকে। পরাগকে বিষ খাওয়ানোর অপরাধে জেল হাজতে দিন কাটাতে হয় শিমুলকে। শিমুলের এই বিপদে পাশে এসে দাঁড়ায় তাঁর চার পড়শি বন্ধু ও শতদ্রু। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল বিপাশা দি।
শিমুল নির্দোষ হয়ে ফেরার পর তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পৌছলে পরাগ হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেয়।
কিন্তু শিমুল আর গলবার পাত্রী নয়। মুখের উপর সপাট জবাব দিয়ে ফিরে আসে সে। এদিকে পুতুল দির বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে আনন্দ অনুষ্ঠান। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বিপাশা দির বাড়িতেই ঠাঁই হয়েছে শিমুলের।
বিপাশার বাড়িতে থাকাকালীন শিমুল জানতে পারে যে, বিপাশা দির স্বামী চন্দন অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়েছে। ঘরে স্ত্রীকে রেখে বাইরে পরকিয়া করে বেড়াচ্ছে চন্দন। এক সংসারে মন না ভরায় বাইরে অন্য নারীর সঙ্গে সংসার পেতেছে সে। সে প্রেয়সীর সঙ্গে কথা বলার সময়েই শিমুলের হাতে ধরা পড়ে চন্দন।
প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে সবটা পরিষ্কার হয়ে যায় শিমুলের কাছে। বিপাশা দিকে ঠকিয়ে নতুন করে সংসার পেতেছে চন্দন দা! অন্যায় দেখে মুখ বন্ধ রাখেনা শিমুল। বিপাশা দির কাছে গিয়ে সবটা জানায় সে। বিপাশার সামনেই চন্দনের মুখোশ খুলে দেয় প্রতিবাদী শিমুল। কিন্তু শিমুলের কথা কি বিশ্বাস করবে বিপাশা? নাকি চন্দনের সঙ্গেই এবার বিচ্ছেদের পথে হাঁটবে সে?