বর্তমান সময়ে যে কোনো ধারাবাহিকের ক্ষেত্রেই টিআরপি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেই ধারাবাহিকের টিকে থাকার ক্ষেত্রে। কারণ টিআরপি নির্ধারণ করেই ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা হয়। টিআরপি দেখেই বোঝা যায় কোন ধারাবাহিক কতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
একটা সময় ছিলো যখন প্রতিটি ধারাবাহিক প্রচুর পরিমাণে টিআরপি পেত এবং সেই কারণে এক একটা ধারাবাহিক দুই থেকে তিন বছর হয়ে যেত। কিন্তু এখন প্রতিযোগিতার বাজার আরও বড় হয়ে গেছে। তাই বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা এবং বিভিন্ন গল্পের আরো নতুন নতুন ধারাবাহিক আসছে একের পর এক।
বর্তমানে বিভিন্ন রকম চ্যানেলের অ্যাপ হয়ে যাওয়ায় মানুষ হাতের কাছে ফোনের মধ্যে দিয়েই ধারাবাহিক বা কোনো এপিসোড মিস করে গেলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে দেখে নিতে পারছে। এখন দর্শকদের আকর্ষণ ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন ধারাবাহিকে একের পর এক নতুন চমক আসছে। তাই নির্মাতারা ধারাবাহিকের মধ্যে এই সমস্ত কুট কাচালি পরকীয়া, এক স্বামীকে নিয়ে তিন জনের টানাটানি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত গল্প নিয়ে আসছে। এখন যদি প্রশ্ন করা হয় যে, এমন কয়েকটি ধারাবাহিকের নাম যে ধারাবাহিকগুলি বর্তমান সময়ে পরকীয়া এবং কূটকাচালি মুক্ত, তাহলে হাতের কাছে দু একটা উদাহরণ হয়তো পাওয়া যাবে।
মোট কথা ধারাবাহিক যেমনই গল্প নিয়ে শুরু হোক না কেন তার মধ্যে এই ধরনের বিতর্কিত গল্পগুলি চলে আসে কিছু না কিছু ভাবে। আর এইগুলো এলেই দর্শকদের আবার সেই একঘেয়ে লাগতে শুরু করে গল্প। সদ্য একটি ধারাবাহিক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী বক্তব্য করেছিলেন যে এমন একটা সিরিয়ালের নাম বলেন যেখানে কোনো পরকীয়া নেই,বর নিয়ে টানাটানি নেই,বোনে বোনে যুদ্ধ নেই, শাশুড়ী বউমার ঝগড়া নেই। বিশেষ করে বারবার বিয়ে আর বর নিয়ে টানাটানি নেই। সত্যি লালকুঠি, প্রথম কাদম্বিনী- পরকীয়া কূটকাচালী থেকে মুক্ত হতে পেরেছে।
এসো মা লক্ষী, গোয়েন্দা গিন্নি, গোধূলি আলাপ ধারাবাহিকগুলির নামও বলেছে কেউ কেউ। এগুলো সত্যিই গল্প খুব ভালো। কিন্তু আরেকটা বিষয় মানতে হবে সেটা হল বিতর্কিত বক্তব্য বা গল্প না থাকলে ধারাবাহিক বিতর্কিত হয়ে ওঠে না।