এই মুহূর্তে অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালর একটা অন্য ধরনের গল্প এসে গেছে কারণ দীপা আর সূর্যর মধ্যে বিচ্ছেদের পর তারা নিজের সন্তানদের দায়িত্ব আইনে পথে নিতে চাওয়ার যে লড়াইয়ে নামে তাতে জিতে যায় দীপা। এখন দীপার শুধুমাত্র নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই কারণ সন্তানদের দায়িত্ব তাকে নিতে হলে চাকরি পেতে হবে।
প্রথমেও দীপাকে চাকরির জন্য অফার দিয়েছিল অর্জুন কিন্তু দীপা সেই অফার ফিরিয়ে দেয় কারণ সে নিজের যোগ্যতায় চাকরিটা পেতে চায়। এবার আবার দিপাকে না জানিয়ে চাকরির অফার লেটার পাঠিয়েছে। দীপা সেটা গ্রহণ করেছে।
অবশেষে অনেক কষ্টে দীপা একটা চাকরি যোগাড় করতে পারল। বাড়িতে ফিরে সকলকে খুশির খবর দিয়েই সে জানালো আবার স্কুলে গিয়ে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে হবে তাকে। তবে দিবার মনে একটাই প্রশ্ন জাগে যে মাসে প্রথমে যে মাইনেটা সে হাতে পাবে সেটা দিয়ে কি সমস্ত কিছু চালাতে পারবে সে? দীপাকে তার বাবা বোঝাই যে এভাবে তিনিও শুরু করেছিলেন এবং আস্তে আস্তে সবাই মিলে একসঙ্গে একে অপরকে সাহায্য করলেই সবকিছু ম্যানেজ হয়ে যাবে। তারপরেই সবাইকে মিষ্টিমুখ করাতে পড়াতে ঊর্মি তার দিদির কাছে আবদার করে যে শুধু সংসারের পেছনে খরচ করলে হবে না তাকে একটা করে মাসে লিপস্টিক কিনে দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে দীপার দিদা বলে ওঠে যে শুধুমাত্র সেই খরচ করলেই হবে না আরো দুটো ছানাপোনা নিয়ে এসেছে তাদের গেলার খরচও তো আছে। খোঁটা দিলে দিদাকে সঙ্গে সঙ্গে চুপ করিয়ে দেয় সৎ মা রত্না।
ওদিকে দেখা গেল যে মিশকা অর্জুনের বাড়িতে এসেছে এবং অর্জুনের দাদার মেয়ে বাবলিকে নেশার কিছু দিয়ে দেয় যাতে সে ঘুমিয়ে পড়ে এবং অর্জুনের বিশেষ কিছু খুঁজে পায় মিশকা। তার হিসাব মতোই কাজ হয় এবং বাবলি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে মিশকা খুঁজে পায় একটা জিনিজ আর সেটা হল দীপাকে লেখা অর্জুনের প্রেমপত্র। সে বুঝে যায় যে এবার তাকে কি করতে হবে এটা দিয়ে। ওদিকে দীপা স্কুলের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখে আসলে সে অর্জুন। দীপা সঙ্গে সঙ্গে রেগে যায় কিন্তু অর্জুন তাকে বোঝায় যে আসলেই চাকরিটা সে নিজের যোগ্যতার উপর ভিত্তি করেই পেয়েছে। আর সেখানে এমন অনেকে পড়তে আসবে যাদের মধ্যে কেউ কানে শুনতে পায় না অথচ গান শিখতে চায় এবং সে শিখবে। আবার কেউ শারীরিকভাবে অক্ষম কিন্তু সে জিমন্যাস্টিক শিখতে চায়। অবশেষে চাকরিটা নিতে রাজি হয় দীপা।
ওদিকে দেখা যায় দীপা বাড়িতে চলে আসার পরে ক্রিসমাসের আয়োজন শুরু হচ্ছে বাড়িতে এবং দীপার বাবা তার নাতিদের জন্য রোস্টেড চিকেন করার জন্য মাংস নিয়ে এসেছে। সেখানে সেলিব্রেশনে যোগ দিতে আসে অর্জুন তার খোকা জেঠু এবং বাবান আর বাবলি। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় পৃথা। সে নিজের আরেক ছেলে ভিক্টরের জন্যই অর্জুনের সঙ্গে কথা বলতে চায় এবং অর্জুনকে জানতে চায়। তবে অর্জুনের জেঠু তাকে পছন্দ করছে না। অবশেষে বাড়ির ছেলেরা চিকেন বানাতে চাইলেও দিবা তাদেরকে জোর করে বসিয়ে রেখে অর্জুনকে নিয়ে রান্না ঘরে চলে যায় চিকেন বানাতে। দুজনকে এক সঙ্গে হাসিখুশি দেখে ঊর্মি আর জয় আর বাকি সবাই খুব খুশি।