এই মুহূর্তে অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালে টানটান উত্তেজনা চলছে। কারণ সূর্য দীপা একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করেছে যে তারা দুজনেই সন্তানের দায়িত্ব নেবে। আর সূর্য দীপাকে কিছুতেই জিততে দেবে না এই কম্পিটিশনে। তবে দীপা নিজের প্রতিজ্ঞা রেখেছে।
সূর্য এবং দীপা এখন সন্তানদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে আইনি পথে। একদিকে সূর্য বার বার বলছে সে শোনার উপাচার থাকতে পারবে না অন্যদিকে দিবা সেই বাড়িতে সূর্যের সঙ্গে দুই মেয়েকে পাঠাতে চায় না যে বাড়িতে মিশকা আছে।
সিরিয়ালের আজকের পর্বে দেখা যায় যে সোনা রুপার বন্ধুর জন্মদিনের পার্টির গেট সূর্য ভেঙে দেওয়ার পরে দীপার কাছে সেই খবর পৌঁছাতেই সে কম্পিটিশন ছেড়ে সেখানে যেতে চায়। সকলে তাকে আটকাতে চাইলে দীপা বলে আমাকে ওখানে যেতেই হবে। আর ও যদি সেখানে যেতে না পারে তাহলে ওকেই পাল্টা সমস্ত টাকা সেই লোকগুলোকে দিতে হবে। পেছন থেকে দাঁড়িয়ে সব কথা শোনে ভিক্টর। ও এটা দেখে ভীষণ খুশি হয়ে যায় যে দীপা আর পারফর্ম করতে পারবে না প্রতিযোগিতায়।
দীপা চলে যায় গেট যেখানে ভেঙেছে সেই জায়গায় এবং সেখানে পৌঁছে খুব কম সময়ের মধ্যেই অর্জুন উর্মি এবং জয় সকলের সাহায্যে আবার গেট সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়। এদিকে স্টেজে একজনের পর একজন নাম অ্যানাউন্স সাথে থাকে এবং প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। বারবার দীপার নাম ঘোষণা করা হলেও দীপা সেখানে আসে না এবং সকলেই ধরে নেয় যে হয়তো দীপান্বিতা সেনগুপ্ত এবার পারফর্ম করবে না। তিস্তা খুব চিন্তায় পড়ে যায় যে বউদিদি হয়তো আর আসতে পারবেনা সময়ের মধ্যে। ভিক্টর তিস্তাকে চিন্তায় দেখে খুশি হয়। এদিকে তার নজর পড়ে তিস্তার উপর।
অন্যদিকে সোনা আর রুপা বাড়ি চলে যায়। সোনা ঘুমের ঘোরে ভাবতে থাকে যে তার বাবা এমন একটা কাজ করেছে এটা সে কিছুতেই মানতে পারছে না। পাশাপাশি সে মায়ের নামও নিতে থাকে। এটা দেখে রত্না এবং রুপা দুজনেরই খুব কষ্ট হয়। এদিকে দীপা গেট সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়ে সবার কাছ থেকে আবার প্রশংসা গ্রহণ করে এবং তারপর অর্জুন তাকে আবার পায়ের ব্যথার জন্য একটা ইনজেকশন দেয় এবং প্রতিযোগিতায় নিয়ে যায়। অর্জুন তাকে দেখে বলে সে হয়তো পারবে না কাজ করতে কিন্তু তবুও দীপা জোর করে কারণ সেই টাকাটা তার প্রয়োজন। সে দৌড়ে কোনমতে স্টেজের কাছে যায় কিন্তু ততক্ষণে কম্পিটিশন শেষ হয়ে গেছে এটা ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
দীপা যারা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাদের কাছে গিয়ে বারবার হাত জোড় করে অনুরোধ করতে থাকে যে তাকে এবার সুযোগ দেওয়া হোক। যারা বিচারকের আসনে ছিলেন তারা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেন এবং তাদের সিদ্ধান্তই দিপাকে শেষ সুযোগ দেওয়া হয় পারফর্ম করার জন্য। তবে সকলে দিবার পারফর্ম দেখে অবাক হয়ে যায় এবং দর্শকমহলে সবাই রীতিমতো হাততালি দিতে থাকে। যদিও তার আগে ভিক্টর এবং ভিক্টরের বন্ধুরা তাকে অনেক অপমান করে এবং বলে যে সে একটা কাজ করতে পারে নিজের নাচ নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দিতে পারে এবং সেখানেই আরো বেশি নাচাকোদা করতে পারে। যদিও তার নাচ দেখার পর সকালে যখন হাততালি দেয় তখন থমকে যায় ভিক্টর। সে মনে মনে ভাবে এই নাচ তো আগে প্র্যাকটিস করেনি দীপা তাহলে কে তাকে এই কোরিওগ্রাফি শেখালো?