টিআরপির লড়াইয়ে লাগাতারভাবে ভাল পারফর্ম করে গিয়েছিল ষ্টার জলসার এই ধারাবাহিক। তবে সবকিছুরই ওঠা-নামা থাকে। আর তাই একটা সময় নিজের সিংহাসন হারিয়ে পিছনের দিকের চেয়ারে গিয়ে বসতে হয়েছিল বাংলা সিরিয়াল এই ‘গাঁটছড়া’কেও। ধারাবাহিকে ঋদ্ধিমান সিংহ রায় এর চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায় এবং খড়ি সিংহ রায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়। সাংসারিক জীবনের অনেক ওঠানামা সামলে গল্পে ফের নতুন মোচড় আনতে পরিচালক মৃত্যু-মৃত্যু খেলাকেই বেছে নেন এই ধারাবাহিকের জন্য।
খড়ি মৃত্যু এই ধারাবাহিকে এনেছিল নয়া মোড়। কিন্তু তার মৃত্যুবার্ষিকীর দিন ঋদ্ধিমানের বারবারই মনে হয়েছে খড়ি বেঁচে আছে। যেমনটা ভাবা তেমনটাই ঘটল। আটপৌরে সাধারণ সাজপোশাক এবং মধ্যবিত্ত চিন্তাধারার খড়ি ফিরে এল এক নয়া রূপে, নতুন আদব-কায়দায়। নিজেকে আপাদমস্তক পাল্টে ফেলেছে সে। এমনকী চুলের ছাটেও এনেছে আমূল পরিবর্তন। নামও পাল্টে হয় ‘ঈশা’।
অনেকেরই মনে হয় ঈশা আর খড়ি আলাদা কিন্তু রিদ্ধিমান মনে করে এরা দুজনেই এক। যদিও ঈশাই যে খড়ি- এটা ঈশা নিজেও মানতে চাননা। এদিকে ঋদ্ধি জানার চেষ্টা করে এই বদলের কারণ কি? তবে কি খড়ি সব ভুলে গেছে পুরোনো স্মৃতি? অন্যদিকে খড়ির বোন বনি জানতে পারে খড়ির মৃত্যুর কারণ এই সিংহ রায় বাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছে। তাই সে খুঁজতে থাকে সেই খুনিকে।
অন্যদিকে তানি ঋদ্ধিকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখে কিন্তু ঋদ্ধি তাকে পছন্দ করে না। সে শুধুমাত্রই খড়িকেই ভালোবাসে বলে জানায় তানিকে। আর তাই ঈশাকে খড়ি ভেবে ওকে নানান সমস্যায় ফেলার চেষ্টা করে। ঈশাকে যে ডাক্তার চিকিৎসা করেন সে হল ‘মৈনাক’।
গতকাল ধারাবাহিকে দেখানো হয়, মৈনাক খড়ির ব্যাপারে কিছু লোকাচ্ছে বলে সন্দেহ করে ঋদ্ধি। এবং সে বারবার মৈনাককে খড়ির বিষয়ে প্রশ্ন করলেও সে কোনো উত্তর দেয়না। কিন্তু কথা বলতে গিয়ে মুখ ফস্কে বলে ফেলে, এর পেছনে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে। আর সেই রহস্যের খোঁজে এখন ঋদ্ধি। এবার দেখার এটাই যে ঋদ্ধি কিভাবে ঈশার স্মৃতিশক্তি ফেরাতে পারবে? আর আসল সত্যটা সামনে আনতে পারবে? ঈশার কি আদোও মনে পড়বে যে সেই খড়ি?