দীপা সূর্য আর মিশকা গল্পের এই তিন মুখো চরিত্র মাতিয়ে রেখেছে অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa)। এই মুহূর্তে মিশকা শয়তান একের পর এক প্ল্যান করে চলেছে যাতে কিভাবে সূর্যকে কাছে পাওয়া যায় এবং দীপা সেই সমস্ত প্ল্যান ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে এবং সত্যি তাকে সামনে আনার চেষ্টা করছে। তবে এবার সূর্যকে পেতে ছলচাতুরি করে সূর্যের সন্তানের মা হতে চলেছে এবং সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই কোনভাবে।
হাজতে মিশকা
এই সমস্ত খেলা খেলতে গিয়ে নিজের জায়গায় নিজেই ফেঁসে যায় মিশকা এবং অবশেষে আদালতের কাছে গিয়ে তাকে সমস্ত ভুল স্বীকার করতে হয়। তবে সে মা হতে চলেছে তাই বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে তার শরীরের প্রতি।আর এই সুযোগটাই নেয় সে। তাই বারবার অসুস্থ হওয়ার মিথ্যা নাটক করছে যাতে সূর্য তাকে আসে দেখতে। আর ঠিক সেটাও হল। তবে এবার আর মিথ্যে কিছু ঘটেনি বরং সূর্যকে আটকাতে গিয়ে পড়ে যায় সে আর এতেই তার শারীরিক অবস্থা জটিল হয়ে যায়। বন্ডে সই করে সূর্য সন্তানের বাবা হিসেবে আর সেটা সে লুকিয়ে রাখে দীপার থেকে।
অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্বে
আজকের পর্বে দেখা যায় যে মিশকাচে ডাক্তার কে হাত করে সূর্যের স্পার্ম নিয়ে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান ধারণ করেছে সেই ডাক্তারের কাছে ছুটে গেছে দীপা। গর্বের সন্তান ছেলে না মেয়ে এটা জানার মিথ্যে ছলচাতুরি করে ডাক্তারকে রাজি করায় সে। ডাক্তার তাকে ইনজেকশন ফোটাতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে দীপা নিজের ঘোমটা থেকে মুখ বের করে বলে এটা একটা বড় অপরাধ। ঠিক তারপরেই ডাক্তারের মুখের সামনে ছুরি ধরে এবং তাকে সমস্ত অপরাধ শিকার করতে বলে। অবশেষে ডাক্তার স্বীকার করে নেয় যে মিশকাই তাকে প্রাণের ভয় এবং টাকার লোভ দেখিয়ে বাধ্য করেছে এই কাজটি করতে। তবে সেই সঙ্গে ডাক্তার এটাও বলে যে বৈজ্ঞানিকভাবে এই সন্তানের বাবা একমাত্র সূর্য।
দীপা সেই সমস্ত কথা রেকর্ড করে এবং ততক্ষণে দীপার দাদা বৌদি পুলিশ নিয়ে আসে। ওদিকে রুপাকে এবং সোনাকে স্কুলের প্রিন্সিপাল ডেকে পাঠায় এবং বলে অজানা বিষয় নিয়ে মারামারি না করতে। সূর্যকে ডেকে পাঠান হয়। সে যায় এবং তাকে স্কুলের প্রিন্সিপাল নিজের বাচ্চাদের নিয়ে দূরে কোথাও চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। এদিকে দেখা যায় তারপর বাচ্চাটা বাড়ি ফিরে এসে পরিবারের সকলের কাছে এই নিয়ে খুব কান্নাকাটি করে যে তাদেরকে বাজে বাজে কথা বলা হচ্ছে বাবাকে নিয়ে। এদিকে দীপা কোথায় গেল এই নিয়ে টেনশন করে সূর্য।
ওদিকে আবার মিশকার মিথ্যে পেট ব্যথার নাটক করে যাতে আবার তাকে হাজত থেকে খুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে সেখানে চলে আসে দীপা এবং সে পুলিশ অফিসার কে বলে বিশেষ অনুমতি নেয় তার সঙ্গে দেখা করার জন্য। আইনজীবী কোর্ট থেকে একটা বিশেষ অনুমতি নিয়ে এসেছে যাতে এখন মিশকাকে তার শারীরিক অবস্থার জন্য গৃহবন্দী করে রাখা হয়। এটা জেনে চিন্তায় পড়ে যায় দীপা। তবে সে মিশকার মুখোমুখি গিয়ে দাঁড়ায় এবং ডাক্তার যে তার সমস্ত কৃতকার্য স্বীকার করে নিয়েছে সেটা ভিডিও দেখায়।