সেনগুপ্ত বাড়ির বংশধর নাকি মিশকার পেটে। হ্যাঁ, অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) ধারাবাহিকে এই চরম পর্ব আসার পর থেকেই দর্শকদের আগ্রহ আরো বেড়ে গেছে এই সিরিয়ালের প্রতি। এখন দর্শক দেখতে চাই যে শেষমেষ এই খেলায় কে জেতে।
মিশকার চাল
সূর্য এবং দিবার মাঝে চরম ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করতে এবার মিশকা এমন একটা প্ল্যান করেছে যেটাতে সহজে তাকে পরাস্ত করা যাবে না। সে সূর্যর স্পা র্ম নিয়ে গর্ভবতী হয়েছে এবং সেই সন্তান যে আসলে সেনগুপ্ত বাড়ির বংশধর সেটা প্রমাণিত হয়ে গেছে। দীপা এই মুহূর্তে অন্য কিছু না ভাবলেও সে সন্তানের কথা ভেবে মিশকাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে এনেছে।
আজকের পর্বে
আজকের পড়বে দেখা যায় যে এক সেমিনারে যোগ দিতে গিয়ে ঘটনাক্রমে লাবণ্যর সঙ্গে দেখা হয়ে গেছে মিশকা। আসলে মিশকা ইচ্ছে করে সব জেনে সেখানে গেছে যাতে লাবণ্যকে অপদস্ত করতে পারে সে। যথারীতি সে সেখানে খাবারের অর্ডার করে কিন্তু বিল মেটাতে পারে না কারণ দাবি করে তার কাছে কোন টাকা নেই। ফলে হোটেলের ম্যানেজার নিজে এসে সেখানে ঝামেলা শুরু করে এবং লাবণ্য সেখানে গিয়ে টাকা দিয়ে সমস্যা মিটিয়ে দেয়। পরে লাবণ্য জানতে পারে যে সেই মেয়েটি আসলে মিশকা এবং মিশকা তখন লাবণ্যর কাছে গিয়ে হাতজোড় করে কিছু টাকা ধার চায়। লাবণ্য অবাক হয়ে যায় তার এই অবস্থা দেখে। যদিও পরে মিশকা আবার দাবি করে যে তার কোন দয়া চাই না। তবে লাবণ্য তাকে জোর করে কারণ তার পেটে যে সন্তান রয়েছে তার সুস্থতার খেয়াল তাকেই রাখতে হবে। লাবণ্য তাকে জোর করে চেয়ারে বসায় এবং খাবার খাওয়াতে যায়। আর সেটা দেখে ফেলে দীপা এবং রূপা। স্বাভাবিকভাবেই এটা দেখে দীপার মনে একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে এবং সে রুপাকে নিয়ে চলে যায় কিন্তু বাড়িতে কাউকে জানাতে মানা করে দেয় রুপাকে।
এরপর দেখা যায় ওদিকে মিশকা লাবণ্যকে ব্ল্যাকমেইল করছে নিজেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে। আসলে সে দাবি করছে তার মাথার ছাদ নেই, খাবারের টাকা নেই। তাই সে নিজে যদি বাঁচতে না পারে তাহলে সেনগুপ্ত বাড়ির বংশধরকে বাঁচিয়ে রাখবে কি করে। লাবণ্য অবাক হয়ে যায় এবং চিন্তায় পড়ে যায় যে এরপর কি হবে।
ওদিকে দীপা রুপাকে নিয়ে নিচে নেমে আসে তারপর রুপা কে সূর্যের কাছে দেওয়ার পর সে আবার উপরে যায় এবং গিয়ে লাবণ্যকে নিয়ে আসতে চায়। লাবণ্য তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে হঠাৎ করে তার দেখা হয়ে গেছে মিশকার সঙ্গে এবং সে যেহেতু অসহায় মেয়েদের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর তাই সে এমনটা করতে গেছে। দীপা রেগে গিয়ে বলে তার কাছে কৈফিয়ত চায়নি দীপা।