একেবারে টানটান উত্তেজনার পর্ব আসতে চলেছে অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) সিরিয়ালে। দীপা মিশকা এবং সূর্য এই তিনজনের ভবিষ্যৎ পাল্টে যেতে চলেছে মিশকার একটা প্ল্যানের জন্য। সে সূর্যর স্পার্ম নিয়ে প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়েছে এবং সেই সন্তানের দায়ের স্বীকার করতেই হবে এবার সূর্যকে। দীপা এটা জেনে ফেলেছে এবং সে একটা চরম সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। তার এই সিদ্ধান্তের ফলে সে জানে ভবিষ্যতে তার ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে কিন্তু তবুও সে সূর্যের অনাগত সন্তানের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব
আজকের পর্ব চরম পর্ব হতে চলেছে। কারণ আজ দেখা যাবে দীপা জানতে পেরেছে যে সূর্য মিশকার সন্তানের বাবা হিসেবে দায়িত্ব স্বীকার করে বন্ডে সই করেছে। তাই এবার বাড়ি এসে লক্ষ্মী পুজো শেষ করার পর জয় সোনা এবং রুপাকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যেতেই দীপা সবার সামনে সত্যিটা প্রকাশ করল।
দীপা জানালো যে মিশকার গর্ভে যে সন্তান রয়েছে সেটা সেনগুপ্ত বাড়ির বংশধর। তাই সে অনাদারে জেলের মধ্যে বড় হবে এটা দীপা চায় না। তার এই কথা শুনে চমকে যায় সেনগুপ্ত বাড়ির প্রতিটি সদস্য। রীতিমতো রেগে যায় সূর্য। তখন সূর্যকে পাল্টা প্রশ্ন করে দীপা যে ও তো আইনগতভাবে এটা স্বীকার করে নিয়েছে যে ওই সন্তান তার। তাই সই করেছে। আর দীপা এটা বলতেই সূর্য এবং লাবণ্য চমকে যায় যে দীপা সত্যিটা জেনে ফেলেছে। ওদিকে বাড়ির সকলে সূর্যকে রীতিমতো বকাবকি করতে থাকে যে মিশকা কতটা ক্ষতিকারক এই পরিবারের জন্য সেটা জানা সত্ত্বেও সে এই চরম পদক্ষেপ নিল।
এবার বিপাশা সকলের সামনে জানালো যে সে চায় মিশকাকে জেল থেকে বের করে আনা হোক এবং তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ তুলে নেওয়া হোক। সবাই দীপাকে বোঝাতে থাকে যে তার এই সিদ্ধান্তে কতটা বড় ক্ষতি হতে পারে তার পরিবারের এটা সে জানে না। দীপা তখন সূর্যকে বোঝায় যে সূর্য চাইলে হাসপাতালে মিশকাকে মেরে ফেলতে পারতো। কিন্তু সেটা সে পারেনি কারণ সে সেটা চায়নি। এমনকি সূর্য চাইলে ওই সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করতে পারত কিন্তু সেটা সে করেনি কারণ সেটা সে চায়নি। দীপার এই কথাগুলোর কোন উত্তর নেই সূর্যর কাছে। তবে লাবণ্য তাকে বোঝাতে চাই যে আসলে পরিস্থিতি এমন ছিল যে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে সূর্য সেখানে। তখন আবার দীপা বলে কারণ সূর্য সেটা চেয়েছে তাই সেটা করেছে। ঠিক এর পরেই সে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয় যে এবার মিশকাকে জেল থেকে বের করে আনা হবে।
ওদিকে হাসপাতালে মিশকা জেল থেকে বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করতে থাকে। তার দেখভাল করা নার্স তার সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে যায় যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সে জেল না গিয়ে বাড়ি যাবে কিভাবে? মিশকা হাসতে থাকে। ওদিকে লাবণ্য তখন দীপাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে মিশকাকে জেল থেকে ছাড়া হলেও এই বাড়িতে এসে সে পা রাখবে না। দীপা বলে না সেটা সে এই বাড়িতে ওকে ঢুকতে দেবে না। তাহলে এবার কেমন হতে চলেছে সূর্য-দীপার ভবিষ্যৎ?