বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম দাপুটে এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী, যিনি খুব ছোট বয়স থেকেই বাঙালি দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন, তাঁর অভিনয় দক্ষতা এবং চরিত্রের গভীরতা দিয়ে তিনি এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছেন। একেবারে শৈশব থেকেই অভিনয়ে আসা এই অভিনেত্রী, পর্দায় প্রতিটি চরিত্রে এক নতুন জীবন দান করেন। তাঁর অভিনয়, যা কখনও একেবারে সরল, কখনও আবার জটিল, দর্শকদের মুগ্ধ করে চলেছে। তাঁকে দর্শকরা জানেন, বিশেষ করে ‘রানি রাসমণি’ (Rani Rashmoni) চরিত্রে, যা তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ছোটবেলায় যীশু সেনগুপ্ত প্রযোজিত ‘অপরাজিত’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয়ে প্রথম পা রেখেছিলেন তিনি। সেই সময় যিশুর মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের নজর কাড়েন। তবে তাঁর জীবনে আসল জনপ্রিয়তা আসে ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে। এই চরিত্রটির মধ্য দিয়ে তিনি যেমন দর্শকের কাছে পৌঁছান, তেমনি বাংলা টেলিভিশনে তার অবদান অমলিন হয়ে থাকে। রানি রাসমণি চরিত্রে তাঁর দুর্দান্ত অভিনয়, সংলাপ এবং ব্যক্তিত্ব দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।
বর্তমানে, দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy) একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছেন। তাঁর সাম্প্রতিক কাজ, ‘তোমাকে ভালোবাসে’ ধারাবাহিকটি ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এসভিএফ প্রযোজিত এই ধারাবাহিকের প্রোমো প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তিনি নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রোমোতেই তিনি এক নতুন চরিত্রে ধরা দিয়েছেন, যা দর্শকদের কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। তাঁর অভিনয়ের নতুন রূপ এবং গল্পের ভিন্নতা এটিকে একটি বিশেষ স্থান করে দেবে টেলিভিশন পর্দায়।
তার কেরিয়ারে প্রতিটি নতুন কাজেই তিনি যেন নিজেকে আরও নতুনভাবে আবিষ্কার করছেন। নতুন ধারাবাহিকের মাধ্যমে একে অপরকে নানা ধরনের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তাঁকে, যা টেলিভিশন দর্শকদের জন্য এক ধরনের রিফ্রেশিং অভিজ্ঞতা। তাঁর অভিনয়ে নতুনত্ব এবং দক্ষতা দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ ও উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। অভিনয়ের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা এবং পরিশ্রম তাকে আরও বড় কাজের দিকে নিয়ে যাবে, যা তাকে বাংলা টেলিভিশনের শীর্ষে পৌঁছানোর পথ আরও সহজ করবে।
আরও পড়ুনঃ প্রিয় সন্তানের অকালপ্রয়াণ! শোকে ভেঙে পড়লেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, অভিনয় থেকে বিরতি
অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায় তার নতুন ধারাবাহিক ‘তোমাকে ভালোবাসে’-এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণ করছেন, তাঁর অভিনয় কোনও বাধার সম্মুখীন নয়। তাঁর প্রতিটি কাজ যেন টেলিভিশনের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।