দেবা আর বেঁচে নেই! ভেঙে পড়লো আঁখি! দুই শালিকে ধামাকাদার পর্ব

স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘দুই শালিক’ (Dui Salikh) যমজ দুই বোনের বিচ্ছেদ, তাদের জীবনের চড়াই-উতরাই এবং এক হওয়ার কাহিনি তুলে ধরেছে। এই সিরিয়ালে প্রধান চরিত্র ঝিলিক ও আঁখির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিতিক্ষা দাস (Titiksha Das)নন্দিনী দত্ত (Nandini Dutta) । দুজনের স্বভাব একেবারেই বিপরীত— ঝিলিক শক্তপোক্ত, জুডোতে পারদর্শী ও আত্মবিশ্বাসী, অন্যদিকে আঁখি ভীতু, শান্ত এবং সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। আঁখির জীবনে আসে ‘দেবা’, যার চরিত্রে রয়েছেন ‘অর্কপ্রভ’ (Arkaprovo) ।অন্যদিকে, ঝিলিকের জীবনে আসে ‘গৌরব’ (অভিনয়ে সায়ন বসু), যে ঝিলিকের কষ্ট বুঝতে পারে এবং তাকে সাহায্য করার জন্য পাশে দাঁড়ায়।

গল্পের বর্তমান এপিসোড এ দেখা যাচ্ছে এক দিকে গুলি খেয়ে দেবা হাসপাতালে ভর্তি অন্যদিকে দেবাই যে তার দাদা এই কথা জানতে পারে গৌরব। সে আর বেশি দেরি না করে, দেবার সাথে দেখা করতে যায় এবং গিয়ে বলে, “তুমি যে আমার দাদা আর আমার বাবা যে তোমাকে ঠকিয়েছে সেই কথা আমি জানতে পেরে গেছি। সত্যি বলতে উনি শুধু তোমাদের নয় আমাদের কেউ ঠকিয়েছে। এবার আমি বুঝতে পারছি কেন এর আগে যতবারই তোমার সাথে আমার দেখা হয়েছে, তুমি এতটা রেগে গেছো”।

দুই শালিক, নন্দিতা দত্ত, তিতিক্ষা দাস, যমজ বোন, আঁখি, ঝিলিক, দেবা, স্টার জলসা, বাংলা সিরিয়াল, বাঙালি অভিনেত্রী, আজকের পর্ব, Dui Shalik, Nandini Dutta, Titiksha Das, twin sisters, Star Jalsa, Jhilik, Ankhi, Bengali Serial, Bengali Actress, today's episode

দূরে দাঁড়িয়ে ঝিলিক সবটা দেখতে থাকে। অন্যদিকে পর মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের ইঙ্গিত প্রকাশ করলে, নীলিমার গায়ে হাত তুলতে যায় পিয়ারকে। তার দাদা হাত ধরে নিয়ে বলেন তুই যা করছিস ভাই সেটা অত্যন্ত ভুল। এটা করিস না। চড় এর দাগটা হয়তো একদিন মুছে যাবে কিন্তু মনের দাগ কখনোই মুছবে না”। এরপরে পিয়ারকে ভাবতে থাকে যে দাদা একদিন তার কাছে হাত পেতে টাকা চাইতো সেই আজকে তার মুখের উপর কথা বলছে, এবং সেখান থেকে চলে যায়।

অন্যদিকে দেবার অবস্থার উন্নতি হলে আঁখি দেবা কে খাওয়াতে যায়। নীলিমা গৌরব কে ফোন করে দেবার খোঁজ নিতে গৌরব তখন জানায়, তাঁরা আজকে সেখানেই থাকবে একেবারে দেবা কে নিয়েই ফিরবে। এরপর গৌরব ভাবতে থাকে যখন সবাই জানতে পারবে দেবা তার দাদা এবং আঁখি তার দাদার বউ আর সে যাকে বিয়ে করেছে তার নাম ঝিলিক তখন কত বড় ঝড় উঠবে। এরপর ঝিলিক গৌরবকে সাইডে নিয়ে গিয়ে কিছু একটা প্ল্যান করে।

আরও পড়ুনঃ হঠাৎ আড়ালে, কেন দূরে সরে গেলেন ছোটো পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী এনা সাহা?

সেই প্ল্যান শুনে গৌরব বলে, “তুমি যেটা করতে চাইছো, সেটা খুব রিস্কি। তুমি একদম শিওর তো এতে কারোর কিছু হবে না?” উত্তরের ঝিলিক বলে, “আমি যা করছি সবার ভালো ভেবেই করছি। আমি চাই দেবা আর আঁখি তাদের যোগ্য সম্মান টুকু পাক”। এরপর তারা দেবার ঘরে দেখা করতে যায়। ইতিমধ্যে ডাক্তার সেখানে দেবা কে ফিট সার্টিফিকেট দেবে বলে এসেছিলেন। ঝিলিক তাড়াতাড়ি তাকে আটকে বলে ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেওয়ার কথা।

এই কথাতে দেবা অত্যন্ত চমকে যায় ঝিলিক তাকে আশ্বস্ত করে বলে, “আমার উপর ভরসা রাখ আমি জানি তোর এইটা মানতে কষ্ট হবে কিন্তু এতে তোর ভালই হবে”। অন্যদিকে কমলা মাসি ছাতা বাড়িতে হামলা করবে বলে বস্তির লোক জড়ো করতে থাকে। কিন্তু পল্টু তাকে আটকে বলে, “এটা আমি কোনভাবেই করতে পারবো না। কারণ কালকে যখন গুন্ডারা দেবাকে মারতে এসেছিল তখন গৌরব দেবার প্রাণ বাঁচিয়েছে”। এরপর সবাই যখন হসপিটালে দেবার খোঁজ নিতে যায় তারা গিয়ে শোনে দেবা আর বেঁচে নেই। এই শুনে সবাই ভেঙ্গে পড়ে। এখানেই পর্বটি শেষ হয়ে যায়।