দুর্জয়ের আসল মুখোশ খুলে গেল রানীর সামনে! তার নোংরা চেহারা সবাইকে বলে দেবে সে

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় জমজমাট ধারাবাহিকের নাম তোমাদের রানী (Tomader Rani) । বলা বাহুল্য শুরুর পর থেকেই দর্শকদের ভীষণ পছন্দের একটি ধারাবাহিক হল এটি। বলাই বাহুল্য নতুন শুরু হওয়া ধারাবাহিক গুলির মধ্যে তোমাদের রানী অন্যতম জনপ্রিয়। ‌ভীষণ‌ই অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ধারাবাহিকটি। তবে চলতি সপ্তাহে স্লট হারা হয়েছে এই ধারাবাহিকটি।

ইচ্ছে পুতুল ধারাবাহিকের সৌজন্যে চলতি সপ্তাহে এই ধারাবাহিকটি স্লট হারিয়েছে। আগে অবশ্য টিআরপিতে গৌরী এলোকে শুরু থেকেই হারিয়ে আসছিল এই ধারাবাহিকটি। শুরু থেকেই অল্পবয়সী দুই তরুণ-তরুণীর প্রেমের এই গল্প দর্শকদের পছন্দ হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে এক মেয়ের সব পাওয়ার লড়াই ও ইচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একেবারে ফ্রেশ এক জুটির দেখা মিলেছে এই ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিকের নায়ক বেশ রাফ অ্যান্ড টাফ।আর নায়িকা রানী ভীষণ রকম মিষ্টি চেহারার ও দৃপ্ত মানসিকতার এক মেয়ে। সবকিছু নিজের মন দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে রানী। ভীষণ মুক্তমনা সে। গোঁড়ামি বরদাস্ত করতে পারেনা। অথচ তার পরিবার ভীষণ গোড়া।

অল্প বয়সেই দারুণ রকমের সফল চিকিৎসক দুর্জয়। সে চায় জীবনে প্রচুর টাকা রোজগার করতে। এবং তার জন্য সে সবকিছু করতে প্রস্তুত। সে ভীষণ রকম বাস্তববাদী এবং কিছুটা হলেও গোঁড়া মানসিকতার। রানী মনে করে মেয়েরা জীবনে চাইলে সব কিছুই করতে পারে। সংসার, সন্তান আবার কেরিয়ার সবকিছুই চায় সে একসঙ্গে।

এই ধারাবাহিকে দুর্জয়-রানীর দুষ্টুমিষ্টি প্রেমের রসায়ন দেখতে ভীষণ পছন্দ করেন দর্শকরা। তবে ভীষণ রকমের গোঁড়া পরিবার রানীর। নিজেদের ব্যবসায়িক কারণে তারা মেয়ের ভবিষ্যৎকে জলাঞ্জলি দিয়ে তার বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। বাবা দুই দাদা এবং এক বৌদির চাপে জেরবার অবস্থা রাণীর।

এহেন রানী প্রেমে পড়েছে দুর্জয়ের। চোখে হারাচ্ছে। এটাই তার প্রথম প্রেম। ইতিমধ্যেই কাছাকাছিও এসেছে তারা। ঘনিষ্ঠ হয়েছে। তবে এই ঘনিষ্ঠতার খবর চাউর হতে বেশি সময় লাগে না। এই খবর গিয়ে পৌঁছয় রানীর বাবা কানেও। মেয়ের তাড়াতাড়ি বিয়ের ব্যবস্থা করে রানীর বাবা। তিনি দুর্জয় কে ফোন করে রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন সে হতে পারে অনেক বড় ডাক্তার কিন্তু কুলটিতে শুধুমাত্র তার কথাই চলে।

তবে রানীকে বাঁচাতে চলে আসে দুর্জয়। কিন্তু তারপর? সম্প্রতি ধারাবাহিকের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে রানীকে কাঁদতে কাঁদতে একটি অন্ধকার রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে বলতে শোনা যাচ্ছে দুর্জয় সেনগুপ্ত তুমি যত বড় ডাক্তার‌ই হও না কেন তোমার নোংরা চেহারা আমি সবার সামনে নিয়ে আসবো। কী করেছে দুর্জয় রানীর সঙ্গে?