Ekka Dokka: ‘এক্কা দোক্কা শেখালো সত্যমেব জয়তে’! শ্বশুরবাড়ি থেকে চুরি করে এনে বাবাকে নির্দোষ প্রমাণ করল রাধিকা! দর্শকরা ভরিয়ে দিল ভালোবাসায়
স্টার জলসার এই মুহূর্ত অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল এক্কাদোক্কা। চেনা প্লটে একটু অচেনা ছন্দে প্রথম থেকেই দর্শকদের মন জয় করে রেখেছে এই ধারাবাহিকটি। তবে সম্প্রতি গল্পের মোড় যেদিকে ঘুরল তাতে দর্শকদের রীতিমতো সিটি বাজিয়ে দেওয়ার মতো হাল।
ধারাবাহিকে এতদিন দেখানো হয়েছিল, দুটি পরিবার যাদের কেউ কাউকে দুচক্ষে দেখতে পারে না, তাঁদের মধ্যেই একটি সম্পর্ক গড়ে উঠবে। তাও আবার যে সে সম্পর্ক নয়, সোজা বিয়ের বন্ধনে বাঁধবে দুই বাড়ি। যদিও এর পিছনে উদ্দেশ্য অন্য।
রাধিকা ও পোখরাজের মধ্যে বিয়ে হয়। রাধিকা ওই বাড়িতে বউ হয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যই ছিল নিজের বাবাকে নির্দোষ প্রমাণ করা। কিন্তু নিশ্চই তা সোজা কাজ ছিল না রাধিকার জন্য। অনেক বাঁধা বিপত্তি, রোজ রোজ নতুন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে প্রতিনিয়ত।
কিন্তু অবশেষে তাতে কি সফল হতে পেরেছে রাধিকা? যে কারণে সে পোখরাজের বাড়ি গেল সেই উদ্দেশ্য কি শেষ অবধি পূরণ করতে পারবে সে? হ্যাঁ পেরেছে। কিন্তু কিভাবে? রাধিকার বাবার নাম ধারাবাহিকে কুশল মজুমদার। তাঁকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসিয়ে নানারকম অপমান বঞ্চনা সহ্য করতে হতো।
কিন্তু ওই বাড়ি থেকে রাধিকা উপযুক্ত প্রমাণ একটু একটু করে হাতিয়ে নিতে পেরেছিল। অবশ্য এর জন্য তাঁকেও কম অপমান সহ্য করতে হয়নি। তাঁর শ্বশুরবাড়িতে তাঁকে চোর অপবাদ পর্যন্ত দেওয়া হয়।
তবে সেসব সহ্য করে নিজের বাড়িতে ফিরে আসে রাধিকা। এবং অবশেষে নেমে যায় অতি প্রত্যাশিত লড়াইয়ে। পাশে দাঁড়ায় উকিল দিদি। আর উপযুক্ত প্রমাণ দেখিয়ে নিজের বাবাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয় রাধিকা। অন্যদিকে, পোখরাজের দুই কাকা অপরাধী সাব্যস্ত হয়। তাঁর বিয়ে, অপমান, বঞ্চনা সব স্বার্থক হয়। আর এটা দেখে দর্শকরাও মুগ্ধ হয়ে যায়।
অনেকেই লিখেছেন, সত্যের জয় সবসময়। ওনার হারিয়ে যাওয়া সন্মান উনি ফিরে পেলেন। রাধিকা পারলো তার বাপি কে নির্দোষ প্রমাণ করতে। তার বাপির স্বার্থে করা বিয়েটা আজ সত্যি পূর্ণতা পেলো। আজ তো কুশল স্যার আর রাধিকারই দিন।