স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’ (Chiroshokha)-র সর্বশেষ পর্বে দেখা গেল এমন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য, যা দর্শকদের মনে হাজারও প্রশ্ন জাগিয়েছে। প্লুটো নিজের জীবনের শেষ মুহূর্তে চিঠিতে পরোক্ষভাবে লিখে গেল, তার এই সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী একমাত্র তার মা। অথচ ছেলের এই পরিণতিতেও সেই মা একটিবারের জন্যও ভাঙতে দিলেন না নিজের অহংকারের দেওয়াল। বরং মৃ’ত সন্তানের নি’থর দে’হ বুকে নিয়েও তিনি বারবার মিঠিকেই দোষারোপ করতে থাকলেন!
প্লুটোর মৃ’ত্যুতে চারপাশে শোকের ছায়া নেমে এলেও, মায়ের অবস্থান কিন্তু এতটুকুও বদলায়নি। নিজের জেদের কাছে তিনি স্বীকার করতে চাননি যে, সন্তানের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বিয়ের সিদ্ধান্তই এই করুণ পরিণতির কারণ। চিঠিতে সবকিছু স্পষ্ট করে যাওয়া সত্ত্বেও তিনি মানতে নারাজ যে, ছেলের মৃ’ত্যুর পেছনে তার দম্ভই সবচেয়ে বড় কারণ। বরং মিঠির প্রতি বিদ্বেষ উগরে দিয়ে চলেছেন একের পর এক।
এই দৃশ্য দর্শকদের মনে এক অস্বস্তিকর প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে—সমাজে কি সত্যিই এমন মা দেখা যায়? যেখানে মা সন্তানের মৃ’ত্যুতেও নিজের ভুল স্বীকার করতে অক্ষম, আর দোষ চাপিয়ে দেন এমন একজনের ওপর, যে আসলে কিছুই ভুল করেনি? সন্তানের অমূল্য জীবন হারিয়েও অহংকারে নড়ে না এমন চিত্র দর্শকদের তীব্র আলোচনার কেন্দ্রে। ধারাবাহিকের গল্পের মোড় ঘুরে গেছে সম্পূর্ণ অন্যদিকে।
প্লুটোর এই মৃ’ত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এরপর কী হবে মৌ আর মিঠির? প্লুটোর মায়ের চোখে আজও মিঠিই দোষী, অথচ প্লুটোর শেষ চিঠি তার নির্দোষিতা প্রমাণ করছে। সমাজের সামনে এখন তারা এক অস্বস্তিকর ভবিষ্যতের মুখোমুখি, কীভাবে আবার ঘুরে দাঁড়াবে তারা? মিঠির সপক্ষে মৌ এগিয়ে আসবে কি না, নাকি পরিবারের চাপে তার জীবন আরও অনিশ্চয়তায় জড়িয়ে পড়বে, সেটাই এখন দর্শকদের বড় কৌতূহল।
আরও পড়ুনঃ “আমার জন্যই সুস্মিতা আজ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছে, ওকে পথ দেখিয়েছিলাম আমি!”— প্রাক্তন দেওর সায়কের অকপট স্বীকারোক্তি! রাখিতে সুস্মিতার একবারও ফোন না পেয়ে কষ্ট পেলেন অভিনেতা-ভ্লগার!
প্লুটোর মৃ’ত্যু শুধু ভালোবাসার গল্পকেই শেষ করেনি, বরং এও দেখিয়েছে যে এক জেদি মায়ের মানসিকতা কতটা নির্মম হতে পারে। প্লুটোর শেষ চিঠি পড়ে যেখানে সবাই ভেঙে পড়ছে, সেখানে মায়ের ঠাণ্ডা মনোভাব কাহিনিকে আরও বাস্তব আর তীক্ষ্ণ করে তুলেছে। শেষমেশ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, এমন মা কি বাস্তবেই সমাজে রয়েছে? যেখানে ভালোবাসার চেয়ে বড় হয় দম্ভ, সন্তানের প্রাণ থেকেও শক্তিশালী হয় নিজের জেদের প্রাচীর! এটা নিছক গল্প নাকি আমাদের চারপাশের জীবনেরই প্রতিচ্ছবি?