সমাজ মাধ্যমের পরিচিত মুখ অভিনেত্রী ‘সুস্মিতা রায়’ (Susmita Roy) কিছুদিন আগে নিজেই প্রকাশ্যে এনেছিলেন জীবনের বড় সিদ্ধান্তের খবর। স্বামীর (Sabyasachi Chakraborty) সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা তিনি জন্মদিনের দিন জানিয়েছিলেন সমাজ মাধ্যমে। সেই ঘোষণার পর থেকেই আরও বেশি করে আলোচনায় উঠে আসছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয় উঠে এলে, সুস্মিতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন— অতীতে আর ফিরতে চান না। বিচ্ছেদ নিয়ে কষ্ট থাকলেও, সেটা দু’জনের মিলিত সিদ্ধান্ত বলেই মেনে নিয়েছেন তিনি।
সুস্মিতার কথায়, ঘোষণা হওয়ার পর আর তাঁদের মধ্যে কোনও যোগাযোগও হয়নি। প্রাক্তন স্বামী পেশায় সাংবাদিক, তবে আলাদা থাকার পরও অভিনেত্রীর প্রসঙ্গ উঠলেই নাম উঠে আসে তাঁর শ্বশুরবাড়ির। কারণ, তাঁর দেওর ‘সায়ক চক্রবর্তী’ (Sayak Chakraborty) টলিউডে অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি পরিচিত ভ্লগারও। তাঁকে প্রায়ই বিভিন্ন ধারাবাহিক এবং বিজ্ঞাপনেও দেখতে পাওয়া যায়। সায়কের সঙ্গে সুস্মিতার সম্পর্ক আগের মতো ব্যক্তিগত না হলেও, পেশার সূত্রে একসময় তাঁদের যোগসূত্র তৈরি হয়েছিল।
সায়কই প্রথম সুস্মিতাকে ভ্লগিং জগতে টেনে এনেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই অভিনেত্রী পরবর্তীতে নিজের ব্যবসা দাঁড় করাতে সক্ষম হন। সায়কের চোখে সুস্মিতা এখনও বিশেষ জায়গা করে আছেন। যদিও এখন তাঁদের যোগাযোগ সীমিত, তবুও তিনি খোলাখুলি স্বীকার করেছেন যে, সুস্মিতার সফলতায় নিজেরও খানিকটা ভূমিকা রয়েছে। তিনি গর্বের সঙ্গেই জানান, সুস্মিতা আজ যেভাবে ব্যবসা গড়ে তুলেছেন, সেটা দেখে তিনি খুশি। তবে একসঙ্গে কাটানো পুরনো মুহূর্তগুলিও মাঝেমধ্যে ভিড় করে আসে তাঁর মনে।
আলাদা থাকার কষ্ট ভুলে গেলেও সেই স্মৃতি থেকে বেরিয়ে আসা সহজ নয়। সম্প্রতি রাখিবন্ধনের দিন সায়কের মনের কথা আরও স্পষ্ট হয়। তাঁর কথায়, অফিসে সহকর্মীদের রাখি পরানোর ছবি দেখিয়েছিলেন সুস্মিতা, প্রতিবছর সায়ককে রাখি পরালেও এবার তাঁর কাছ থেকে একটা ফোনও পাননি সায়ক! এই অভিমান তাঁকে কষ্ট দিয়েছে। তবে সায়কের মতে, জীবন মানেই মানিয়ে নেওয়া। যে পরিস্থিতিই আসুক না কেন, তা মেনে নিয়ে এগিয়ে চলাই একমাত্র পথ।
আরও পড়ুনঃ সবাই ভেবেছিল মিরাকল হবে, কিন্তু প্লুটো সত্যিই নেই! মায়ের জেদের ব’লি প্লুটো— এমন পরিণতি কি ধারাবাহিকের জন্য অতিরিক্ত নির্মম নয়? লেখিকার এই সিদ্ধান্ত কি ঠিক? নাকি প্লুটোকে বাঁচিয়ে দিলেই ভালো হতো! আপনাদের মতে এটা কতটা বাস্তবসম্মত?
তাই তিনি এখন অতীতের সবকিছু মেনে নিয়ে নিজের মতো করে লড়াই করছেন। দাদা-বৌদির সংসার ভেঙে যাওয়ার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানেন না সায়ক। তবে তাঁর চোখে সুস্মিতার উন্নতি এবং সাফল্যই বড় প্রাপ্তি। অভিনেত্রীর জীবনে তিনি যে সামান্য হলেও সাহায্যের হাত বাড়াতে পেরেছিলেন, সেই ভাবনাই তাঁকে আনন্দ দেয়। দাদা-বৌদির সম্পর্ক ভেঙে গেলেও, এক প্রাক্তন দেওর হিসেবে আজও সুস্মিতার জন্য শুভকামনা জানাতে ভোলেন না তিনি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।