Ekka Dokka: পোখরাজের সঙ্গে সুখে সংসার করতে না পারায় অনির্বাণের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ের পথে রাধিকা! “চরিত্রহীন” আখ্যা দিয়ে দিল সমাজ! আয়না দেখালো রাধিকা ভক্তরাই
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের (Leena Ganguly) লেখা অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘এক্কাদোক্কা।’ তবে লীনা দেবীর লেখা বর্তমান সমস্ত গল্পকে এককথায় ‘গাঁজাখুরি’, ‘পরকীয়ার আখড়া’ বলে থাকেন দর্শকরা। আসলে এক নায়কের দুই স্ত্রী বা কোথাও এক নায়িকার দুই প্রেমিক এখন সর্বত্র।
কিছুদিন আগে থেকেই এই ধারাবাহিককে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আসলে ‘সাহেবের চিঠি’ ধারাবাহিক শেষের পর এই ধারাবাহিকে এন্ট্রি নিয়েছে প্রতীক সেন। টেলিভিশন যাঁরা দেখেন তাঁরা জানেন বাঙালি দর্শকদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের জুটি সোনামণি-প্রতীক। আর বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম নায়ককে অন্য একটি ধারাবাহিকে ঢুকিয়ে সেই ধারাবাহিকের নায়ককে সাইড করার চেষ্টা মোটেও পছন্দ হচ্ছেনা দর্শকের।
আসলে ‘সাহেবের চিঠি’ শেষ হওয়ার পর এক্কাদোক্কা ধারাবাহিকে ডাক্তারের চরিত্রে ফিরেছেন অভিনেতা প্রতীক সেন। আর তিনি ফিরতেই পোখরাজ ওরফে অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিক দ্বিতীয় লিড-এ পরিণত হয়েছেন। যাঁরা এই ধারাবাহিক দেখেন তাঁরা জানেন রাধিকা-পোখরাজের মিলন হওয়ার পরিবর্তে পোখরাজের সঙ্গে বিয়ে দেখানো হল গুন্ডার মেয়ে ‘রঞ্জাবতী’র সঙ্গে। ধারাবাহিকের মূল নায়িকা রাধিকাকে জোর টক্কর দিচ্ছে রঞ্জা। ইতিমধ্যেই রাধিকার প্রতিদ্বন্দী হয়ে উঠেছে সে।
দর্শকদের মতে অনির্বাণ-রাধিকাকে এক করতেই পোখরাজের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হল রঞ্জার। অর্থাৎ দ্বিতীয় মোহদীপ জুটি বানাতে চাইছেন লেখিকা। আর এবার সেটাই হতে চলেছে। বিয়ে দেখানো হতে চলেছে রাধিকা-অনির্বাণের। আর ছোটবেলার ভালোবাসা বলে বেড়ানো পোখরাজকে ছেড়ে দিয়ে এবার অনির্বাণের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার মোহে মগ্ন রাধিকাকে নিয়ে শুরু হয়েছে ট্রোলিং।
আর এবার সেই সমস্ত কটাক্ষকারীদের আয়না দেখালেন রাধিকা ভক্তরা। তাঁদের কথায়, প্রথম বিয়েতে শান্তিতে সংসার করতে পারেনি রাধিকা, বিভিন্ন অত্যাচারের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হয়েছে তাঁকে। সেই খারাপ বিয়ে থেকে আইনতভাবে বেরিয়ে এসে সে নিজের মতো জীবন কাটাচ্ছে, নতুনভাবে সবটা শুরু করতে চাইছে। এখানে কোনও ভুল নেই। তাঁদের কথায়, অনির্বাণের সঙ্গে রাধিকার আলাপ খুব অল্প দিন হলেও তাদের ভালোবাসাটা একেবারে খাঁটি যেখানে কোনও স্বার্থ নেই, রেষারেষি নেই। আছে সম্মান। বিচ্ছেদ এমনি এমনি হয়না দু’জন ব্যাক্তির মধ্যে দূরত্ব আসলে তবেই তাঁদের মধ্যে ডিভোর্স নামক ঘটনা ঘটে।তার মানে এই নয় যে তার ভালো থাকার অধিকার নেই। ২০২৩ সালের দাঁড়িয়ে একটা মেয়ের দিকে আঙুল না তুলে অন্ধকার দিক থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন তিনি।