ছোট পর্দার অন্যতম চর্চিত জুটি ‘রণজয় বিষ্ণু’ (Ranojoy Bishnu) এবং ‘শ্যামৌপ্তি মুদলি’র (Shyamoupti Mudly) সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা অনেক দিনের। যদিও তাঁরা কখনও সরাসরি কিছু বলেননি, তবে মাঝে মাঝেই তাঁদের আচরণ, ছবি বা সম্প্রতি একই সময় পাহাড়ে ঘোরার পোস্ট দেখে দর্শকদের কৌতূহল বেড়েছে বই কমেনি। একসঙ্গে খুব একটা ছবি না দিলেও, আলাদা আলাদা পোস্ট ঘেঁটে অনেকেই মিল খুঁজে পান– লোকেশন, সময়, ব্যাকগ্রাউন্ড, এমনকি মুডেও! এই সমস্ত কিছু দেখে দর্শকদের মনে বারবারই ফিরে আসে সেই পুরোনো প্রশ্ন, তাহলে কি তাঁরা সম্পর্কে রয়েছেন? কবে এক হচ্ছে চার হাত?
এদিন একটি সাক্ষাৎকারে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হলে শ্যামৌপ্তি বেশ স্পষ্টভাবেই একটা তফাৎ টানেন। তাঁর মতে, সাধারণ দর্শকরা তাঁদের প্রথমে অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসেবে চিনেছে ও ভালোবেসেছে। সেই জায়গা থেকেই অনেক সময় মানুষ চায় পছন্দের দুই মানুষ বাস্তবেও কাছাকাছি আসুক। সেখানে একধরনের আন্তরিকতা কাজ করে। কিন্তু আত্মীয়স্বজন বা চেনা পরিচিতরা যখন একই প্রশ্ন তোলে, অনেক সময় সেখানে অন্যরকম দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে। যেন কোনও সম্পর্কে জড়ানো মানেই সেটা ব্যাখ্যা করার দায় আছে, কিংবা সেটা কোনও ভুল!
প্রসঙ্গত, ‘গুড্ডি’ ধারাবাহিকের শেষের দিক থেকে তাঁদের বন্ধুত্বের গভীরতা নিয়ে কানাঘুষো শুরু হলেও, পরবর্তী সময়ে একটি মিউজিক ভিডিওতে একসঙ্গে কাজ করার সময় সেই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয় বলে ধারনা অনেকের। যদিও এই বিষয়টা নিয়ে তাঁরা কেউই কোনও দিন মুখ খোলেননি, বরং নানা প্রশ্নে কৌশলে পাশ কাটিয়ে গেছেন। তাঁদের এমন স্বভাব অনেকের চোখে রহস্যময় মনে হলেও, ব্যক্তিগত জীবনকে আড়ালে রাখার এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই সম্মান করেন। অন্যদিকে, কাজের প্রতি দুজনের নিষ্ঠা আর পেশাগত ব্যবহারে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা তৈরি হয়েছে দর্শকদের।
রণজয়ের ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ শেষ হওয়ার পর তিনি কিছুদিন ঘুরতে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। আর কিছুদিন পরেই তাঁর ইনস্টাগ্রামে কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি আসে। শ্যামৌপ্তির প্রোফাইলেও দেখা যায় দার্জিলিংয়ের মল রোড। এমন মিল দেখে তাঁদের অনুরাগীদের অনুমান আরও দৃঢ় হয়েছে। আসলে এই সময়ের তারকারা জানেন কোনটা সামনে আনতে হয় আর কোনটা ব্যক্তিগত রাখাই ভালো। সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠলে রণজয়ের বক্তব্যও বেশ বাস্তবসম্মত, যেভাবে দর্শকরা তাঁদের কাজের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুনঃ প্রথম কাজেই পর্দায় ঝড় তুলছেন পর্না চক্রবর্তী! স্টার জলসার ‘কম্পাস’ ধারাবাহিকে আত্মপ্রকাশের মাধ্যমেই নজর কেড়েছেন দর্শকের—সংলাপ বলার ধরন, চোখে আত্মবিশ্বাস, আর অভিনয়ে এক অনন্য পরিণতি! আপনাদের তার অভিনয় কেমন লাগছে?
ঠিক তেমনি খারাপ লাগলেও তাঁদের সমালোচনার অধিকার রয়েছে। তাই হয়তো সম্পর্ক নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও, তাঁরা চেষ্টা করছেন ব্যক্তিগত আর পেশাগত জীবন আলাদা করে দেখতে। যতটা সম্ভব নিজেদের মতো করে বাঁচতে। সম্পর্ক আছে কি নেই– তার থেকেও বড় হয়ে ওঠে একে অপরকে সম্মান করা, সময় দিলে পাশে থাকা। সে কথা স্বীকার না করলেও, ছবি আর মুহূর্তগুলোই যেন বলে দেয় অনেক কিছু। আপনাদের কেমন লাগে রণজয় আর শ্যামৌপ্তির জুটি? নতুন ধারাবাহিকে কি ফের একসঙ্গে দেখতে চান তাদের?