বিনোদন জগতে প্রতিনিয়তই আসছে নতুন মুখ। কেউ কেউ কয়েকটা পর্বেই হারিয়ে যায়, আবার কেউ নিজের প্রতিভা ও পরিশ্রমে দর্শকের মনে জায়গা করে নেয় স্থায়ীভাবে। টেলিভিশনের পর্দায় নতুন শিল্পীদের আগমন মানে নতুন গল্প, নতুন আবেগ, নতুন অভিজ্ঞতা। ঠিক তেমনই এক নতুন মুখ সম্প্রতি নজর কেড়েছেন দর্শকদের—তিনি হলেন পর্না চক্রবর্তী।
প্রতিটি নতুন শিল্পীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দর্শকের ভালোবাসা পাওয়া। কারণ সেটাই নির্ধারণ করে, তার অভিনয় কতটা বাস্তব ও সংবেদনশীল। আর এই পরীক্ষায় প্রথম কাজেই উজ্জ্বল নম্বর পেয়েছেন পর্না। সংলাপের টান, চোখের অভিব্যক্তি, আত্মবিশ্বাসের দৃঢ় ঝলক—সবকিছুতেই ফুটে উঠছে এক পরিণত শিল্পীর ছাপ। তাঁর অভিনয়ই প্রমাণ দিচ্ছে, তিনি এসেছেন দীর্ঘ পথ চলার জন্য।
স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘কম্পাস’ ইতিমধ্যেই দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে। কলেজ-জীবন, বন্ধুত্ব, প্রেম, প্রতিবাদ ও আত্মসম্মানের সমন্বয় তৈরি এই সিরিজে প্রতিটি চরিত্রই জীবন্ত হয়ে উঠেছে। তবে দর্শকদের সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে পর্নার অভিনয়। তাঁর চরিত্র যেন এই ধারাবাহিকের হৃদস্পন্দন—“কম্পাস” মানেই এখন যেন পর্না চক্রবর্তী।
অভিনয়ে পর্নার সহজাত আত্মবিশ্বাস, আবেগ প্রকাশের নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ, আর দৃঢ় দৃষ্টির জোরে তিনি যেন নিজেকেই চরিত্রে মিশিয়ে ফেলেছেন। প্রতিটি সংলাপ, প্রতিটি অনুভূতি এমনভাবে ফুটিয়ে তোলেন, যেন পর্দায় আর কেউ নেই, শুধু তিনি। তাঁর অভিনয়ে প্রতিবাদের আগুন যেমন আছে, তেমনি কোমল অনুভূতির ছোঁয়াও স্পষ্ট।
আরও পড়ুনঃ “রাক্ষসীর মতো দেখতে, একদিন আফসোস করতে হবে!” “এত বড় সুযোগ ছেড়ে দিলে? গ’র্ভপা’ত করে দিতে!”— কটাক্ষ শুনেও আত্মসম্মানকে ঢাল করেই আজ টেলিভিশনের অন্যতম শক্তিশালী মুখ চৈতালি চক্রবর্তী! সাধারণ মেয়ে থেকে অসাধারণ অভিনেত্রী হয়ে ওঠার গল্প চোখের জল আনবে!
এই মেয়েটিই এখন ‘কম্পাস’-এর প্রাণ, দর্শকদের ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। প্রথম লিড কাজেই এমন সাফল্য সত্যিই বিরল। পর্না চক্রবর্তীর এই আত্মবিশ্বাসী সূচনা যেন বাংলা টেলিভিশনের আকাশে এক নতুন তারকার জন্মের ইঙ্গিত দিচ্ছে।