জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’কে (Chirodini Tumi Je Amar) ঘিরে টেলিপাড়ায় তৈরি হওয়া জটিলতার মাঝেই নতুন আশার ইঙ্গিত মিলছে। নেপথ্যে যত টানাপড়েনই চলুক না কেন, ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে শোনা যাচ্ছে যে অপর্ণা চরিত্রে ‘দিতিপ্রিয়া রায়’ই (Ditipriya Roy) থাকছেন! রবিবারের বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক থেকে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না বেরোলেও, পরিস্থিতি পুরোপুরি অন্ধকারে নেই।
প্রযোজনা সংস্থা ও চ্যানেল নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছে, ‘জিতু কমল’ও (Jeetu Kamal) ইতিমধ্যেই শুটিংয়ে ফিরে গেছেন। এদিকে আর্টিস্ট ফোরামও চাইছে ধারাবাহিক যেন কোনও পরিস্থিতিতেই বন্ধ না হয়, কারণ অনিশ্চয়তা বাড়লে বহু মানুষের রোজগার থেমে যাবে। তাই দিতিপ্রিয়ার নীরবতা যতটা চাপ বাড়িয়েছে, ততটাই আশা তৈরি করেছে এই সম্ভাবনায় যে তিনি শেষ পর্যন্ত সরে যাচ্ছেন না। গতকাল পর্যন্ত জল্পনা ছিল, নায়িকার জায়গায় অন্য কারও সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।
কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, সেই আলোচনা ততটাই থেমে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভিতরের অনেকেই বলছেন, দিতিপ্রিয়া এনওসি জমা দেননি আর সেটাই বড় ইঙ্গিত। নায়িকা নীরব থাকলেও, জানা যাচ্ছে যে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ঠান্ডা হয়েছে আর আজ থেকেই কাজও চলবে আগের মতো। ফলে ধারাবাহিকে আর মুখ বদল নয়, বরং স্থিতাবস্থার দিকেই এগোচ্ছে সবকিছু। চ্যানেলের পক্ষ থেকেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে কোনও তাড়াহুড়ো না করার বার্তা শোনা গেছে।
কারণ টিআরপি ভালো থাকা অবস্থায় ধারাবাহিক থামিয়ে দেওয়া কারও পক্ষেই লাভজনক নয়। ইউনিটের অনেক সদস্য বলছেন, ব্যক্তিগত মতবিরোধ থাকতেই পারে কিন্তু কাজের জায়গায় সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করছেন। তাই এই মুহূর্তে ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে শুধু একটাই সিদ্ধান্তের উপর, দিতিপ্রিয়া শুটে ফিরবেন কি না। সব মিলিয়ে অবস্থা যতটা জটিল দেখাচ্ছে, ভিতরে ততটা অনিশ্চয়তা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ‘তুমি আজ সাধু হয়েছ বাবা, আমি চোর বটে!’ ‘পুলিশ মানেই সে ঘুষখোর বা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, একটা পেশাকে দোষ দিলেই কি সমাজ বদলে যায়?’ বাস্তব সমাজের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন তুললেন অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরী
সোমবারের অপেক্ষা অবশ্যই রয়েছে, তবে ভবিষ্যতেও ‘অপর্ণা’ চরিত্রে দিতিপ্রিয়াই থাকছেন ধরেই এগোচ্ছে পুরো ইউনিট। যদিও এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবুও ভিতরের খবর বলছে সিদ্ধান্ত প্রায় পাকা। ফলে ইউনিটের বড় একটা অংশ কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে। এবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এলে ধোঁয়াশা কেটে যাবে, কিন্তু ধারাবাহিক বন্ধ হচ্ছে না, আর মুখও বদলাচ্ছে না। অপর্ণা চরিত্রে দিতিপ্রিয়াই বহাল থাকলে, ভবিষ্যতেও কি এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে? সময়ই এখন বাকিটা বলবে।






