এক হাতে টাকা নেব অন্য হাতে সই করব! কেন হঠাৎ এত লোভী হয়ে উঠল শিমুল?

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের পর্দা কাঁপানো ধারাবাহিকের নাম অবশ্যই কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) । পরপর দু’সপ্তাহ যাবৎ টিআরপি তালিকায় এই ধারাবাহিকটি নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। বাংলা টেলিভিশন প্রেমীরা মুগ্ধ হয়ে রয়েছে এই ধারাবাহিকে। আর সেখানেই ধারাবাহিকের সাফল্য।

বলাই বাহুল্য এই মুহূর্তে দর্শকরা কার্যত বিমুগ্ধ এই ধারাবাহিকের প্রতিটি পর্ব দেখে, কারণ এতটাই উত্তেজক এখন এই বাংলা ধারাবাহিকের প্রত্যেকটি পর্ব। দর্শকরা এখন মন দিয়ে দেখে চলেছেন এই ধারাবাহিকটি। আর এই ধারাবাহিকের প্রত্যেকটি পর্ব এখন মন ছুঁয়ে যাচ্ছে দর্শকদের।

তবে সবাই যে মুগ্ধ হয়ে প্রশংসা করছেন এমনটা নয় কিছু কিছু জনের মত রয়েছে বিরুদ্ধ। কিন্তু তারাও সেই ধারাবাহিকটি দেখছেন আর সেখানেই এই ধারাবাহিকের সফলতার চাবিকাঠি। এই ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে আমরা দেখেছি নায়িকা শিমুলের স্বামী-দেওর পরাগ এবং পলাশ ও পলাশের হবু স্ত্রী প্রতীক্ষা শিমুলকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আর তাই শিমুলের পাড়ার বন্ধুরা শিমুলকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য তার স্বামী, দেওর এবং দেওরের হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু হঠাৎই শিমুল নিজে সব দোষ নিয়ে বাঁচিয়ে দেয় তাদের।

এরপর শিমুল ঘটনার কথা তুলে পরাগকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করে। সে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। সেইসঙ্গে পরাগের মাইনের অর্ধেকটা তার হাতে তুলে দিতেও বলেছে। না হলেই সে পুলিশে কেস করবে বলেও জানায়। কিন্তু নিজের পেটের ছেলেদের স্বার্থে আঘাত লাগতেই একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে যান শিমুলের শাশুড়ি । ফিরে আসে সেই পুরনো মধুবালা। এই ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যাবে, পরাগ যখন টাকাটা শিমুলকে দিতে যায় তখন মধুবালা পরাগকে বাধা দিয়ে বলে, টাকা যখন দিবি তার একটা সাক্ষী থাকা দরকার।

এই বলে মধুবালা দেবী শিমুলের মা এবং দুই বৌদিকে ডেকে পাঠায়। নিজের মা বৌদিদের দেখে শিমুল প্রচন্ড অস্বস্তিতে পড়ে যায়। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। সে গুনে গুনে টাকা নেয় পরাগের থেকে। শাশুড়ির শত প্রতিরোধ সত্ত্বেও শিমুল টাকা আদায় করে নেয় পরাগের থেকে। শিমুলের বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ির সবাই তাজ্জব হয়ে দেখতে থাকে শিমুলের কর্মকাণ্ড।