Godhuli Alap: রোহিণীর মুখে ঝামা ঘষে তাকে অরিন্দমের বাড়িতে ঢুকতেই দিল না নোলক! এভাবেই আবার রোহিণীকে জব্দ করবে নোলক, বেজায় খুশি দর্শকরা
স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল হলো গোধূলি আলাপ। এটা বাংলায় এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে এবার হিন্দিতে এই ধারাবাহিক আসতে চলেছে। স্টার প্লাসে ইতিমধ্যেই এই গোধূলি আলাপ এর হিন্দি রিমেকের প্রোমো চলে এসেছে।সব মিলিয়ে হই হই করে চলছে গোধূলি আলাপ যদিও পিলুর সঙ্গে টক্কর দিতে পারছে না কিন্তু অরিন্দম এবং নোলকের আলাদাই একটা ভক্ত সংখ্যা রয়েছে।
নোলক অর্থাৎ নবাগতা সমু সরকারের এটা একদম প্রথম সিরিয়াল তাই ভবিষ্যতে তিনি যে রাজত্ব করবেন এ কথা বলাই বাহুল্য। কৌশিক সেনের সঙ্গে দাপিয়ে অভিনয় করছে সমু। সেই সঙ্গে সোহাগ সেনের সঙ্গেও তার দৃশ্যগুলোর মানুষের খুবই ভালো লাগছে। ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি কায়দা করে রোহিনী নোলক আর অরিন্দমের বিয়েটা আটকে দিয়েছে এই বলে যে নোলক নাবালিকা আর অরিন্দমকে জেলে ভরেছে পুলিশ।
একটা রিপোর্ট নিয়ে এসে পুলিশকে দেখিয়েছে যেখানে দেখানো হয়েছে যে নোলকের বয়স এখনো ১৮ হয়নি। যদিও নোলক বারবার বলছে যে, তার গত বছর ১৮ হয়ে গেছে। বিয়ে তখনকার মতো ভেস্তে যায় তবে আদির সঙ্গে রোহিণীর বিয়েটা হয়ে যায়।
নোলক তখন নিজের গ্রামে যায় প্রমাণ জোগাড় করার জন্য তবে সেখানেও রোহিনীর শয়তানিতে তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং নোলকের বাবাকে গ্রেফতার করা হয়।নোলক তখন পাগলের মত কাঁদতে থাকে আর কীভাবে প্রমাণ করবে যে সে নাবালিকা নয় এটাই বুঝতে পারে না। পুলিশের সাহায্য নিয়ে অরিন্দম যখন সেখানে উপস্থিত থাকা পুলিশকে ফোন করে তিনি জানান যে নোলকের বাবাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। নোলকের গ্রামের বাড়ি পুড়ে ছাই।
অরিন্দমের নির্দেশে জয়ন্ত নোলককে আনতে যায়। রোহিণী সেটা জানতে পেরে প্রেস মিডিয়াকে খবর দিয়ে দেয় এবং যখন জয়ন্ত আর নোলক বাড়ি ঢুকতে যাবে তখন মিডিয়া তাদেরকে ছেঁকে ধরে আর কিছুতেই তাদেরকে বাড়ি ঢুকতে দেয় না। বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অগ্নিকে যখন চৈতি এই খবরটা জানাতে আসবে অগ্নি মনে মনে খুব খুশি হবে। তবে সে ওদের দুজনকে উদ্ধার করতে যাবে না।আদি এসে ওদেরকে উদ্ধার করে বাড়ির ভেতর নিয়ে আসবে।
আবার উল্টোদিকে রোহিনীকে কিছুতেই স্বীকার করতে রাজি হবেন না অরুন্ধতী এবং তাকে নিজের বাড়িতে ঢুকতে দিতেই তিনি রাজি নন। বাসি বিয়ের দিন সকালবেলা পুজোর নামে হিন্দি গান চালিয়ে রোহিণী চূড়ান্ত অসভ্যতা করে। তাকে ওই বাড়িতে রেখেই চলে আসে অরুন্ধতী এবং অরিন্দমের পরিবারের বাকি লোকজন। আদিও এখানে কিছু করতে পারেনা।
তখন রোহিণী আরও রেগে যায় আর ওই বাড়িতে ঢোকার জন্য মরিয়া হয়ে যায়।অন্যদিকে নোলক এসে উকিল বাবুর সঙ্গে দেখা করার জন্য পাগল হয়ে যায় তখন অরুন্ধতী বলে যে তুমি তো অরিন্দমকে ভালোবেসে ফেলেছ সেই জন্যই তুমি ওর কাছে যেতে চাইছ। নোলক কনের সাজেই চলে যাবে অরিন্দম এর কাছে আর বলবে সে যে করেই হোক প্রমাণ করবে তার আসল জন্ম রিপোর্ট নিয়ে এসে যে সে নাবালিকা নয় আর অরিন্দমকে ঠিক ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে। অরিন্দমকে সে প্রশ্ন করবে খোকা গুন্ডা তো লোকের জমি কেড়ে নিতো আর এখানে তো রোহিণী আমার পায়ের তলার জমি কেড়ে নিয়েছে আপনার সম্মান কেড়ে নিয়েছে। তাকে আপনি শাস্তি দেবেন না উকিল বাবু?’
এভাবেই রোহিণীকে বাড়িতে ঢোকা থেকে আটকে দেয় নোলক এবং খুব শীঘ্রই সে নিজের জন্মের আসল রিপোর্ট নিয়ে এসে আবার রোহিনীর মুখে ঝামা ঘষবে এবং অরিন্দম এবার রোহিণীকে কড়া শাস্তি দিতে চাইবে। তবে হয়তো আদির জন্য বেশি কিছু করতে পারবে না কিন্তু রোহিণীর এবারের জারিজুরি আর খাটবে না ..