স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক গৃহপ্রবেশ-এ নতুন মোড় এসেছে, যেখানে শুভ এবং আদৃত সত্য উদ্ঘাটনের পথে এগিয়ে চলেছে। ধারাবাহিকের গল্প শুরু হয়েছিল এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের বিদেশে আসার পর নানা জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া নিয়ে। তবে বর্তমানে গল্পে চুরির একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যা শুভর শাশুড়ি এবং কাকি শাশুড়ির ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে। শুভ যখন তার ঘরে চুরির ঘটনার মূল সন্দেহভাজনের জামার বোতাম খুঁজে পায়, তখনই তার মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। সে আদৃত এবং তার কাকা শ্বশুরের কাছে বিষয়টি প্রকাশ করে এবং সবাই মিলে সত্য খোঁজার সিদ্ধান্ত নেয়।
গৃহপ্রবেশ আজকের পর্ব ১১ ফেব্রুয়ারি (Grihoprobesh Today Episode 11 February)
প্রমাণ সংগ্রহের জন্য তারা বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং সেখানে সন্দেহভাজন ব্যক্তির স্পষ্ট ছবি দেখতে পায়। শুভ বুঝতে পারে যে এই ব্যক্তিই চুরির পেছনে রয়েছে। এরপর আদৃত, শুভ এবং রূপক একসঙ্গে ওই ব্যক্তিকে ধরতে বের হয়। ধরা পড়ার পর আদৃত তাকে জেরা করতে শুরু করে, কিন্তু লোকটি প্রথমে কিছুই স্বীকার করতে চায় না। তবে বারবার চাপে পড়ে অবশেষে সে স্বীকার করে যে এই কাজ করার জন্য রূপকের কাকিমা তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ কথা শুনে রূপক ভীষণ লজ্জিত হয় এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
পরিবারের সামনে সত্যি প্রকাশ পাওয়ার পর বাড়ির পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রূপক এই অপমান সহ্য করতে না পেরে নিজেকে ঘরে বন্দী করে ফেলে। অন্যদিকে, আদৃতের মা চিন্তায় পড়ে যান, যদি তার নাম সামনে আসে, তাহলে পরিবারের মধ্যে আরও অশান্তি ছড়িয়ে পড়বে। শুভ এই ঘটনার পর উপলব্ধি করে যে শুধু রূপকের কাকিমা একা এই ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করেননি, নিশ্চয়ই তার পেছনে আরও কেউ রয়েছে। কিন্তু যথাযথ প্রমাণের অভাবে সে কিছুই করতে পারে না এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
এদিকে, রূপকের ঘরবন্দি অবস্থা দেখে পরিবারের সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। শুভ তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে, কিন্তু রূপক কারও সাথে কথা বলতে রাজি হয় না। অনেক অনুরোধ ও জোরাজুরির পর অবশেষে সে দরজা খুলে দেয়। শুভ রূপকের মানসিক অবস্থা দেখে নিজেকেও দোষী মনে করতে শুরু করে। সে ভাবে, যদি সে সত্যি উদ্ঘাটন করার চেষ্টা না করত, তাহলে হয়তো আজ বাড়ির এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না।
আরও পড়ুনঃ রোম্যান্সে মোড়া ‘কথা’-র আগামী পর্ব! উত্তেজনায় ভরা এই পর্ব মিস করবেন না কিন্তু!
আগামী পর্বে দেখা যাবে, সত্যি প্রকাশ পাওয়ার পর রূপক কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং আদৃত ও শুভ কীভাবে পুরো ঘটনাকে সামাল দেয়। অন্যদিকে, শুভর মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে যে এই ষড়যন্ত্রে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। তাই সে আরও প্রমাণ খুঁজতে শুরু করে। তবে আদৃতের মা কি সত্যিই ধরা পড়বে, নাকি সে নিজের নাম বাঁচানোর জন্য অন্য কোনো ফন্দি আটবে? সব উত্তর মিলবে আসন্ন পর্বগুলিতে।