আর্থিক সাফল্যই কি জীবনের আসল মানদণ্ড? এই প্রশ্ন ঘিরে নতুন বিতর্কে নাম জড়ালেন ছোট পর্দার (Bengali Television) পরিচিত মুখ ‘রাজা গোস্বামী’ (Raja Goswami)। এক সময় মাধ্যমিকে স্টার পাওয়া ছাত্র পরবর্তী পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেও হার মানেননি জীবনের কাছে। বরং ধৈর্য, পরিশ্রম আর নিরন্তর প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেছেন নিজের স্বপ্নের ঠিকানা। সম্প্রতি তাঁর সামাজ মাধ্যমে করা একটি পোস্ট (Social Media Post) থেকেই বিতর্কের (Controversy) সূত্রপাত।
যেখানে অভিনেতা জানান, এক সময় চারপাশের মানুষ ভেবেছিল তাঁর ভবিষ্যৎ অন্ধকার, কিন্তু বাস্তব চিত্র আজ সম্পূর্ণ আলাদা। ২০০৯ সালে ‘ভালবাসা ডট কম’ ধারাবাহিক দিয়ে টেলিভিশনে যাত্রা শুরু রাজার। প্রথম সিরিয়ালের সহ-অভিনেত্রী ‘মধুবনী গোস্বামী’র (Madhubani Goswami) সঙ্গেই তাঁর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল জীবনের একটি বড় মোড়। আজ তাঁরা এক সন্তানের বাবা-মা। যদিও টেলিভিশনের পর্দায় নিয়মিত দেখা গেলেও রূপালি পর্দায় তাঁর উপস্থিতি সীমিত।
তবে ধারাবাহিক থেকে পাওয়া উপার্জন দিয়েই শহরের বুকে একাধিক সম্পত্তির মালিক হতে পেরেছেন তিনি। তাঁর মতে, জীবন সবসময় যুক্তির নিয়ম মানে না। বরং যেখানে মানুষ ভেবে নেয় গল্প শেষ, সেখানেই শুরু হয় ‘ম্যাজিক’। রাজা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, শুধুমাত্র পরীক্ষার নম্বর জীবনের মানদণ্ড হতে পারে না। বরং লক্ষ্য ঠিক থাকলে এবং সময়মতো সিদ্ধান্ত নিলে সাফল্য আসবেই। রাজা ও মধুবনী বর্তমানে কলকাতায় চারটি ফ্ল্যাটের মালিক।
যদিও তাঁরা নিজেরাই থাকেন পৈতৃক বাড়িতে, বাকি ফ্ল্যাটগুলি ভাড়া দেওয়া হয়। ধারাবাহিকে পা রাখার আগে মুম্বইয়ের রুক্ষ জীবনে নিজেকে তৈরি করেছিলেন রাজা। দিন কেটেছে ভাড়াবাড়িতে, শপিং মলের স্নানঘরে গা ধুয়ে। এমন জীবন কাটিয়ে আজ তিনি সফল অভিনেতা ও ব্যবসায়ী, যে যাত্রার পেছনে আছে লড়াই ও আত্মবিশ্বাস। বাংলা টেলিভিশনই তাঁকে দিয়েছে পরিচিতি, অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য এবং স্থায়ী জীবনের ভিত।
আরও পড়ুনঃ শুভকে সারা নিউইয়র্কে খুঁজে না পেয়ে পাগল হয়ে উঠেছে আদি! এদিকে, সব সমস্যার সমাধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুভলক্ষী! শুভ কি পারবে মোহনার আসল রূপ সকলের সামনে আনতে?
এখন যদিও বাংলা ধারাবাহিকের বাজারে পরিবর্তন এসেছে এবং টিআরপির ধার কমেছে, তবু রাজা মনে করেন, যে সময় তিনি যাত্রা শুরু করেছিলেন, তখন ছিল স্বর্ণযুগ। সেই সময় ধারাবাহিকে কাজ মানেই ছিল যাত্রা, শো, পুজোর অনুষ্ঠান— সর্বত্র চাহিদা। তাই রাজা গর্ব করেন নিজের পেশা নিয়ে। কারণ বাংলা ধারাবাহিকই তাঁকে দিয়েছে নিজের পরিচয়, সম্মান ও সাফল্যের স্বাদ।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।






“তোর বু’কগুলো আমায় খুলে দে না, লাগিয়ে নিই!”— মীরের অপমানজনক মন্তব্যে সেদিন রুখে দাঁড়িয়েছিলেন স্বরলিপি চট্টোপাধ্যায়! নিজের আত্মসম্মান রক্ষায় মুখ খুললেও জুটেছিল বিদ্রুপ! এতদিন বাদে সবটা খোলসা করলেন তিনি!