বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় কিন্তু এই মুহূর্তের জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল সন্ধ্যাতারা (Sandhyatara)। এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে টিআরপিতে দারুণ পারফরম্যান্স করছে। যদিও প্রথম পাঁচ থেকে বিদায় নিয়েছে বেশ অনেকদিন আগেই। তবে দর্শকদের মনে দাগ কাটতে সফল হয়েছে এই বাংলা ধারাবাহিকটি। এই ধারাবাহিকটি রোহিত সামন্ত ও সাহানা দত্তের প্রযোজনা সংস্থা মিসিং স্ক্রু’র। (Missing Screw Production House)
বলাই বাহুল্য, স্টার জলসার পর্দায় এই ধারাবাহিকটির মধ্যে দিয়ে ফের বাংলা টেলিভিশনের পর্দা কাঁপাচ্ছেন অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরা। আর তার মতো অভিনেত্রীকে দীর্ঘদিন পর কাছে পেয়ে আপ্লুত দর্শকরাও। এই ধারাবাহিকের মধ্যে সুখ, দুঃখ, আনন্দ, মজা, কুটিলতা সবকিছুই খুঁজে পেয়েছেন দর্শকরা। দারুণ রকমের প্রাণবন্ত এই ধারাবাহিকটি অচিরেই দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিল। তবে এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকের গল্প একেবারেই দুশ্চিন্তায় পরিপূর্ণ।
সম্পূর্ণভাবে পরিস্থিতির শিকার হয়ে সন্ধ্যা ও আকাশের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে অবশ্য সন্ধ্যা জানতেও পারে যে তার স্বামী আকাশ অন্য একটি মেয়েকে ভালোবসে। তবে সেই মেয়ে যে খোদ তার নিজের বোন সেটা সন্ধ্যা জানার আগেই গল্প ঘুরিয়ে দেয় আকাশ।
সম্প্রতি সন্ধ্যার স্মৃতিভ্রম হয়েছে। অন্যদিকে আবার গর্ভবতী তারারও বিয়ে হয়ে গেছে অঙ্কনের সঙ্গে।
স্মৃতি শক্তি হারালেও কিন্তু বোনের প্রতি টান কমেনি সন্ধ্যার। সর্বক্ষণ খোঁজ করছে বোনের। যদি সন্ধ্যার সব কথা মনে পড়ে যায় আর তাই তারা আর সন্ধ্যাকে একসঙ্গে দেখে নীলও সন্ধ্যাকে নিয়ে চলে যায়। ডাক্তার দেখাতে হবে সন্ধ্যাকে। কারণ তার মাথায় রয়েছে চোট।
কিন্তু সন্ধ্যা কিছুতেই ডাক্তারের কাছে আসতে চায় না। নীল জোর করে এনেছে। সে ডাক্তারকে বলে, “ওর মাথায় চোট। কিন্তু ওর মাছের গন্ধ অসহ্য লাগছে কেন?” এই কথা শুনে ডাক্তার চেকআপ করে সন্ধ্যাকে। আর তারপর যা জানান তাতে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় নীলের। নীলকে ডাক্তারবাবু বলেন মা হতে চলেছে সন্ধ্যা। আর এই খবর শুনে রীতিমতো চমকে যায় নীল।
আর এবার পিকনিকে যাওয়ার জেদ ধরেছে সন্ধ্যা। কিন্তু এই শারীরিক অবস্থায় তাকে যেতে দিতে নারাজ নীল। আর তাই নিজেকে আহত করে সন্ধ্যার যাওয়া আটকানোর পরিকল্পনা করে সে। আর সেই মতোই সে সিঁড়ি থেকে পড়ে যাওয়ার নাটক করে। তবে আগে থেকেই সবটা শুনে নিয়েছিল সন্ধ্যা। আর তাই সন্ধ্যা সিঁড়িতে বসে নীলের পড়ে যাওয়া আটকে দেয়। এবার কী করে সন্ধ্যার যাওয়া আটকাবে নীল?