প্রকৃত অর্থে অবাস্তব ধারাবাহিক দেখেছেন? উত্তরে অনেকেই হয়ত হ্যাঁ বলবেন। আসলে স্টার জলসার পর্দায় চলা ধারাবাহিক গুড্ডি।আসলে আষাঢ়ে গল্পের আধার এই ধারাবাহিক।সাময়িক কিছুদিনের জন্য এই ধারাবাহিকটিকে দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল লীনা গঙ্গোপাধ্যায় হয়ত অবাস্তব কাহিনী লেখা বন্ধ করে দিলেন। কিন্তু কোথায় কী! তিনি আবারও শুরু করেছেন অবাস্তব সব গল্প লেখা। আর বলা যায় গুড্ডিকে তিনি আষাঢ়ে গল্পের ভান্ডার বানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মৃত অনুজকে ফিরিয়ে নিয়ে এসে লীনা দেবীর গল্পের গরু সমেত গাছটাই কেটে ফেলেছেন। গুড্ডি ধারাবাহিকের প্রথম অধ্যায়ে দেখানো হয়েছে পরকীয়া, তীব্র নোংরামি! এরপর গল্পে আসে দ্বিতীয় অধ্যায়। যেখানে ফিরে আসে অনুজের ছেলে পুবলু অর্থাৎ ঋতুরাজ। আর এই চরিত্রে আবারও ফেরেন অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু। একইসঙ্গে নায়িকা গুড্ডির পালিতা কন্যা রেশমি অর্থাৎ ঋতাভরীকেও দেখতে হয় অবিকল গুড্ডির মতোই। ধীরে ধীরে প্রেম হয় ঋতাভরী-ঋতুরাজের।
এছাড়াও গল্পে আসে আরও দুটি চরিত্র অয়ন্তিকা ও ঋগ্বেদের।অয়ন্তিকা ভালোবাসে ঋতুরাজকে। আর ঋগ্বেদ ভালোবাসে ঋতাভরীকে। কিন্তু আবার দেখানো হয় ঋতুরাজ বা ঋতাভরী একে অপরকে ভালোবাসে। এই কথা জানতে পেরে অয়ন্তিকা আর ঋগ্বেদ ঋতাভরী, ঋতুরাজের বিয়ে দিয়ে দেয়।
এরপর গল্পে আসে নতুন টুইস্ট। মৃত্যুর পর হিন্দু মতে চিতায় উঠিয়ে দাহ করার পরেও জ্যান্ত অনুজ ফিরে আসে। আসলে লীনা দেবী চমক দিতে ভোলেন না। তবে এ যে সে চমক নয়, একেবারে বাম্পার চমক। পুবলু রেশমির বৌভাতের দিন এই পচা গরমে গায়ে স্যুট চাপিয়ে মাথায় হ্যাট দিয়ে বাড়ির ড্রয়িংরুমে এসে উপস্থিত হলো এক পৌঢ় ব্যক্তি। যাকে দেখে চমকে উঠলো সবাই! ওরে বাবা এ যে অনুজ। একদম হুবহু অনুজের মতো দেখতে একটি লোক।
তবে এটা কী আদৌ অনুজ? বোধহয় নয়।দাঁড়ি-গোঁফের আড়ালে উঁকি দিচ্ছে এক অন্য মানুষ। ভালো মানুষির আড়ালে ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করছে সে। তার ওপরে ইতিমধ্যেই অল্প বিস্তার সন্দেহ জন্মেছে গুড্ডির। বলা যায় এই অনুজরূপী মানুষটা একজন জঙ্গি। ভারতের ক্ষতি করতে এসেছে সে। এক তীব্র আঘাতের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে গুড্ডি। নকল অনুজের হাত থেকে কিভাবে সে রক্ষা করবে নিজের দেশকে?