আজকাল বাংলা বিনোদনের জগতে বাংলা সিরিয়ালগুলি বিশেষ স্থান অর্জন করেছে। একের পর এক বিনোদনের চাহিদা বেড়ে চলেছে মানুষের মধ্যে। আর প্রথম থেকেই ধারাবাহিকগুলির ক্রেজ কম ছিল না।
তবে এখন মানুষের স্বাদ এবং চাহিদা দুটোই বদলেছে। সেই স্বাদ এবং চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে একের পর এক নতুন ধারাবাহিক আসছে বাংলা চ্যানেলগুলিতে। নতুন ধারাবাহিক আশায় হয় পুরনো ধারাবাহিককে বিদায় নিতে হচ্ছে আর তা না হলে তাদের সম্প্রচারের সময় পাল্টে যাচ্ছে। এমন বহু উদাহরণ আমরা অনেক আগেই পেয়েছি।
তবে আজকের এই খবর স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় এবং শীর্ষস্থানে থাকা ধারাবাহিক খড়কুটোকে নিয়ে। মুখোপাধ্যায় পরিবারে একদিকে যেমন আনন্দ তেমনি অন্যদিকে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাজি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছে আবার। কলেজের সহ অধ্যাপক অর্জুনের সঙ্গে নতুন সংসার শুরু করবে সে।
সেই হুল্লোড়ে যোগ দিয়েছে গুনগুন। কিন্তু আগের মতো আর হইচই করতে পারে না সে। অল্পতেই কেমন হাঁপিয়ে যায়। টেলিপাড়ায় গুঞ্জন এভাবেই নাকি হাসি-কান্নার আরেকটা অধ্যায় আসতে চলেছে এই ধারাবাহিকে।
শুধু যে একটা নতুন অধ্যায় আসছে তা নয়, এর মাধ্যমেই নাকি লীলা গঙ্গোপাধ্যায়ের এই জনপ্রিয় ধারাবাহিকটি শেষ হয়ে যাবে। এই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে আর ছড়িয়ে পড়তেই খড়কুটো ধারাবাহিকের দর্শকদের মধ্যে দুঃখের ছায়া নেমে এসেছে।
শোনা যাচ্ছে আগস্ট মাসের ৫ তারিখ নাকি ধারাবাহিকের শেষ পর্বের সম্প্রচার দেখানো হবে। অর্থাৎ আর একমাসও বাকি নেই ধারাবাহিক শেষ হতে। হাতে গোনা কয়েকটা দিন আর তারপরেই গুনগুন বিদায় নেবে। ২০২০ সালের ১৭ই আগস্ট শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকের যাত্রা।
প্রথম দিন থেকে গুনগুন, সৌজন্য, পটকা, পুটু পিসি, চিনি, রূপাঞ্জন, মেজকা, জেঠাই সকলে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিল। একেবারে নিজের বাড়ির পরিবারই হয়ে উঠেছিল দর্শকদের কাছে।
ধারাবাহিকে এখন যতই ধামাকা আসুক টিআরপির দিক দিয়ে কোন প্রতিফলন ঘটছে না। বহুদিন ধরে তলা নিতে গিয়ে ঠেকেছে এর টিআরপি। ধারাবাহিকের সাজি চরিত্রে অভিনয় করা সোনাল মিশ্রের কাছে এক সংবাদ মাধ্যম প্রশ্ন করেছিল এই বিষয়ে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা তিনি জানতে পারেননি। তবে এটা নিশ্চিত যে একদিন না একদিন ধারাবাহিক বন্ধ হবেই।