ডিভোর্সের বিনিময়ে টাকার দাবি চন্দ্রের! চন্দ্রর দাবির মুখে নতুনের পাল্টা জবাব, বাড়ির সম্পূর্ণ মালিক কমলিনী! স্বার্থে জর্জরিত চন্দ্র এবার আশ্রয়হীন! ফের একসঙ্গে থাকবে কমলিনী-নতুন! কমলিনীর সাহসী সিদ্ধান্তে কাঁপছে গোটা পরিবার!

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনী অনেক দুঃখ, কষ্ট নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। মিটিল, কুর্চি বা মিঠি কেউই তাঁকে আটকাতে পারছে না। এমন সময়ে নতুন এসে উপস্থিত হয়, সঙ্গে কমলিনীর দাদা এবং কাকু। কমলিনীকে সবাই অনেক বোঝাতে থাকে,কিন্তু তাঁর কথা এই বাড়িতে সে কি অধিকারে থাকবে।

ঠিক তখনই নতুন জন্মদিনের উপহার স্বরূপ বাড়ির দলিল তুলে দেয় কমলিনীর হাতে। নতুন জানায়, একসময় এই বাড়ি দুজনের নামে ভাগ করে দেওয়া থাকলেও এবার থেকে এই বাড়ির সম্পূর্ণ মালিকানা কমলিনীর। যাতে ভবিষ্যতে কমলিনীর থেকে কেউ জোর করে দখল নিতে না পারে, অথবা বাড়ি থেকে বের করে দিতে না পারে সেই জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছে সে।

হঠাৎ চন্দ্র প্রতিবাদ করে বলে ওঠে, তার অবর্তমানে এই বাড়ি মা এবং স্ত্রীর নামে করেছিল। কিন্তু এখন যখন সে বর্তমান তার নামেই বাড়িটা করে দেওয়া উচিত ছিল নতুনের। সঙ্গে এটাও বলে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল কাজ করেছে নতুন। নতুনের কথায়, জীবনের শ্রেষ্ঠ কোনও কাজ যদি সে করে থাকে তাহলে এই কাজটাই। এত বছর চন্দ্রের অবর্তমানে কমলিনী তাঁর মা সহ সংসারের দায়িত্ব সামলেছে।

তাই এই অধিকার তার থেকে কারোর বেশি হতে পারে না। নতুন কমলিনীকে শ্রেষ্ট বন্ধুর উপমা বললে, চন্দ্র তাঁদের বন্ধুত্ব নিয়ে খারাপ ইঙ্গিত করতে থেকে। এই পরিস্থিতিতে বাবিল-মিটিল কমলিনীকে অনুরোধ করে, আগে যেমন নতুন এই বাড়িতেই থাকতো কমলিনী যেন সেই অধিকার ফিরিয়ে দেয়। চন্দ্রকে বাড়ি ছাড়া করতে বলে সবাই। এদিকে মিঠির বক্তব্য ওই মহিলাকে বাড়িতে যেন থাকতে না দেয়।

কমলিনী বলে, সে সোহিনীদের এই অচেনা শহরে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলতে পারবে না। চন্দ্রকে এবার নিজের ঠিকানা খুঁজে নিতে বলে কমলিনী, চন্দ্রের মা এতে আপত্তি জানালে তাকেও চলে যেতে বলে সে। ডিভোর্সের প্রসঙ্গ উঠতেই চন্দ্র জানায় মেয়েদের ডিভোর্সের ক্ষেত্রে যেমন কিছু দাবি থাকে তারও তেমন দাবি আছে। নতুন বলে, সে আগে থেকেই জানতো উদ্দেশ্য নিয়েই চন্দ্র এখানে ফিরেছে।

আরও পড়ুনঃ “সৌম্যর সঙ্গে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রেম করব!” “আমরা হরিহর আত্মা!”— দেবলীনার মুখে প্রেমের খোলামেলা স্বীকারোক্তি! আইনি বিচ্ছেদের আগেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু! তথাগত কচি মেয়েতে মজতেই নতুন প্রেম নিয়ে খুল্লামখুল্লা দেবলীনা!

সবাই মিলে চন্দ্রকে জানতে চায়, তাঁর কতো টাকা লাগবে, কিন্তু সে আবার সংসার করবে বলে, মিথ্যে কান্না কাঁদতে থাকে। এরপর তাদের বন্ধুত্বের স্বীকৃতি হিসেবে নতুন কমলিনীর হতে বাড়ির কাগজ তুলে দেয়। মিঠি নতুনকে অনুরোধ করে থেকে যেতে, বর্ষা এতে আপত্তি জানায়। কমলিনী পরিষ্কার করে বলে দেয়, কারোর আপত্তি সে আর মানবে না। নতুনের সঙ্গে সে এক বাড়িতে, একসাথে থাকবে।

You cannot copy content of this page