দর্শকরা বারবার চ্যানেল এবং প্রযোজনা সংস্থার কাছে অনুরোধ করছে এবার এই ধারাবাহিক বন্ধ হোক। কিন্তু কে শোনে কার কথা! অন্যান্য সব ধারাবাহিককে বন্ধ করে দিলেও ব্যাপক পরিমাণ গাঁজা মেশানো গাঁজাখুরি ধারবাহিক গুড্ডি কিন্ত রমরমিয়ে চলছে।
দর্শকদের তীব্র কটাক্ষ, নোংরা মন্তব্য কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করেই খোশ মেজাজে এই ধারাবাহিকের গল্প লিখে চলেছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। এই গল্পের মাথা মুন্ডু শরীর কোনও কিছুই আর নেই। বলা যায় লেখা শুরু করে লেখিকা পুরো ছড়িয়ে ফেলেছেন। কোথা দিয়ে গল্প গোটাবেন আর সেটাই বুঝতে পারছেন না।
অনুজ গুড্ডি এবং শিরিন এই তিনটি চরিত্র নিয়ে শুরু হয়েছিল গুড্ডি ধারাবাহিকের পথচলা। শুরুর দিকে এই ধারাবাহিকের গল্প বেশ ভাল রকম মনোরঞ্জন করেছিল দর্শকদের। কিন্তু হঠাৎ কোথাও কিছু নেই এই গল্পে পরকীয়া নোংরামি ঢুকিয়ে এই ধারাবাহিকটিকে একেবারে যাচ্ছেতাই রকমের একটা ধারাবাহিকে পরিণত করলেন তিনি।
অনুজ গুড্ডির মতো সম্পর্ককে কখনই সমাজ স্বীকৃতি দেয়নি। যুধাজিতের মতো ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ে হওয়া সত্ত্বেও অনুজকে মন থেকে ভুলতে পারেনি গুড্ডি। সে যাই হোক অনুজের মৃত্যু দেখিয়ে প্রথম অধ্যায়ের গল্প শেষ করে দেন লীনা দেবী। এরপর আসে দ্বিতীয় অধ্যায়ের গল্প। যেখানে আবারও অকল্পনীয়, অবাস্তব ঘটনা জুড়ে দেন লীনা দেবী।
দ্বিতীয় অধ্যায়ের গল্প অনুযায়ী অনুযায়ী অনুজ শিরিনের ছেলে ঋতুরাজকে দেখতে হয় অবিকল অনুজের মতো। আবার এক অদ্ভুত আশ্চর্য ক্ষমতাবলে গুড্ডির পালিতা কন্যা রেশমি অর্থাৎ ঋতাভরীকে দেখতে হয় অবিকল গুড্ডির মতোই। যা দেখে হতবাক হয়ে যায় দর্শকরা। সে যাই হোক গল্প অনুযায়ী ঋতুরাজ এবং ঋতাভরীর বিয়ে হয়ে যায়।
আর এই বিয়ের ঘটনায় আসে আরও বড় চমক। ঋতাভরী-ঋতুরাজের বৌভাতের দিন সকালবেলা পচা গরমে মাথায় হ্যাট গায়ে স্যুট চাপিয়ে হাজির হয় চিতায় উঠে পুড়ে যাওয়া অনুজ। পুরনো প্রেমিককে দেখতে পেয়ে আবারও প্রেম জাগ্রত হয় গুড্ডির মনে।
অন্যরা সবাই অনুজকে সন্দেহের চোখে দেখলেও তাঁর প্রতি অন্ধবিশ্বাস জেগে ওঠে গুড্ডির। কিন্তু এই অনুজের একটি অন্ধকার জগৎ আছে। সে কিন্তু জঙ্গি। ভারতবর্ষের খারাপ করতে এসেছে সে। ইতিমধ্যেই তার অন্ধকার জগতের খোঁজ পেয়েছে জেঠুমনি। এই রহস্যময় ব্যক্তিকে এত প্রাধান্য দেওয়ায় রেশমি প্রতিপদে অপমান করছে মাকে। যদিও অপমানিত হওয়া গুড্ডির গা সওয়া! সে যাই হোক আবার না প্রেমিক বেয়াই হাতছাড়া হয় গুড্ডির!