যতই ইন্দ্র বলুক তবুও ঘুষ দিয়ে গুগলিকে নামী স্কুলে ভর্তি করাবে না মিতুল! ‘নতুন করে সামাজিক শিক্ষা দিচ্ছে খেলনা বাড়ি’, পুতুল বানানোর কারিগরের সততা দেখে মুগ্ধ দর্শকরা

জি বাংলার এখন অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে খেলনা বাড়ি।ইন্দ্র এবং মিতুলের কেমিস্ট্রি সেইসঙ্গে মিষ্টি মেয়ে গুগলির দুষ্টুমি মানুষের বেশ পছন্দ হচ্ছে। সত্যি কথা বলতে বৌমা এক ঘর খেলনা বাড়ির সঙ্গে না পেরে পালিয়ে গেছে রাত সাড়ে দশটায়। সাহেবের চিঠিও মনে হচ্ছে না খুব একটা সুবিধা করতে পারবে খেলনা বাড়ির কাছে।

তার কারণ খেলনা বাড়িতে বেশ শক্তিশালী গল্প দেখানো হচ্ছে। জি বাংলার ধারাবাহিক গুলো মূলত দেখা যায় সামাজিক শিক্ষা দেয়। অনেক ছক ভাঙা জিনিস দেখানো হয় জি বাংলার ধারাবাহিকে। বিশেষ করে জি বাংলার নিজস্ব প্রোডাকশন হাউসের গল্পগুলোতে রাখী ম্যাম এবং সৌভিক চক্রবর্তী একদম অন্যরকম গল্প লেখেন। পিলুতে রাখী ম্যাম বিধবা বিবাহ দেখিয়েছেন, আবার মিঠাইতে সমরেশ এর পুনর্বিবাহ দেখাচ্ছেন। অন্যদিকে সৌভিক চক্রবর্তী এবং রাখি ম্যাম এবার খেলনা বাড়িতে দেখাবেন একদম নতুন একটা গল্প যা দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

আমরা নতুন প্রোমোতে দেখতে পাব গুগলিকে কলকাতা শহরের নামী স্কুলে ভর্তি করতে নিয়ে গেছে ইন্দ্র মিতুল। তখন মিতুল ইন্টারভিউ বোর্ডের সাক্ষাৎকারে জানায় যে সে উচ্চ মাধ্যমিক পাস। তখন স্কুল থেকে জানানো হয় তাহলে তো গুগলিকে অনেক টাকা ডোনেশন দিয়ে ভর্তি হতে হবে স্কুলে আর সেই শুনে ইন্দ্র রাজি হতে গেলেও মিতুল রেগে যায় এবং সটান ঘুষ দেব না বলে গুগলিকে নিয়ে টানতে টানতে বেরিয়ে আসে সেখান থেকে।

ইন্দ্র তখন বলে যে, আপনার জেদের জন্য গুগলি ভালো স্কুলে ভর্তি হতে পারল না। আর তখন মিতুল চ্যালেঞ্জ নিয়ে নেয় যে গুগলি এই স্কুলেই পড়বে তবে ঘুষ দিয়ে নয়। অর্থাৎ এখানে এটা দেখানো হলো যে নামি দামি স্কুলে ভর্তির জন্য এখন ডোনেশন নেওয়া হয় অনেক স্কুলে এবং মিতুলের মতো মানুষরাও আছে যারা ডোনেশন না দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিজেদের সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করতে চায়। তাই নেটিজেনরা কুর্নিশ জানাচ্ছে এই গল্পকে।

Gugli