মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা। শুধু ভাষাটাই নয় বাংলার যা কিছু প্রতিটি বাঙালি হিসেবে আমাদের কাছে সেই সব কিছুই সুন্দর, সেই সব কিছুই গর্বের। আর তার মধ্যে বাংলার চলন বলন খাওয়া দাওয়া পোশাক শিল্প সমস্তকিছু অন্তর্ভুক্ত।
আজকাল আমরা বড্ড বেশি পশ্চিমী ভাবধারায় ডুবে গিয়েছি। বিদেশের প্রভাবে রীতিনীতি, চলন বলন, পোশাক পরিচ্ছদ, এমনকি খাওয়া-দাওয়া, শুধু তাই নয় জীবন-যাপন পদ্ধতিও পাল্টে ফেলেছি আমরা। ভুলতে বসেছি নিজের শিকড়কে। তোষণনীতিকে এতটাই আমরা আপন করে ফেলেছি যে নিজেদের গুরুত্ব নিজেদের মহিমা ভুলতে বসেছি।
কিন্তু সেই শিক্ষা দিল এবার বাংলার এই জনপ্রিয় ধারাবাহিক। স্টার জলসার এই মুহূর্তে শীর্ষস্থানে থাকা ধারাবাহিকগুলির মধ্যে অন্যতম হলো গাঁটছড়া। খড়ি এবং ঋদ্ধি ছাড়াও ধারাবাহিকের প্রায় প্রতিটি চরিত্রই দর্শকদের খুব কাছের এবং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তার মধ্যে দর্শকদের সবথেকে বেশি ভালো লাগে খড়িকে। সিংহ রায় পরিবারের পাশে থাকতে সে সবসময়ই প্রস্তুত, তার জন্য যে কোন মূল্য দিতে হোক না কেন। কিন্তু এবার যে সে শুধু সিংহ রায় পরিবারকে অবাক করে দিয়েছে তা নয়, প্রতিটি বাঙালির চোখ হয়তো খুলে দিল।
এই প্রথম হয়তো কোনও নতুন প্রজন্মের বাংলা ধারাবাহিকে বাংলা শিল্পের প্রতি আনুগত্য এবং সম্মান দেখানো হলো। আজকের প্রজন্ম বাংলা শিল্প প্রায় ভুলতে বসেছে।
বাংলার হাতের কাজ বাংলার মানুষের হাতের তৈরি নানা জিনিস যে আসলেই বাংলার কদর বৃদ্ধি করে তা আমরা ভুলতে বসেছি। অথচ বিদেশীদের কাছে কিন্তু বাংলার সবকিছুই খুব প্রিয়। ঠিক যেমনটা দেখানো হল এই ধারাবাহিকে।
আসলে এক বিদেশি ক্রেতা সিংহ রায় পরিবারে এসেছেন নতুন অলংকার দেখতে। মিস্টার পিটারকে তাই খুশি করতে কোন বিদেশি অলংকার নয় বরং দেশীয় অলংকারের সাহায্য নিল পরিবারের বড় বউ।
খড়ি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় এবং নিজের ইচ্ছে একটি সুন্দর প্রেজেন্টেশন তৈরি করেছে যেখানে হাতে তৈরি করা কারুকার্যের বিভিন্ন গয়না স্থান পেয়েছে। মাটির গয়না বা পোড়ামাটির গয়না এই সমস্ত কিছু দেখানো হয়েছে সেখানে। আর এতে দিদিকে অবশ্যই সাহায্য করেছে দ্যুতি। এবার জমে উঠবে ধারাবাহিক এমনটা বলাই যায় এই প্রমো থেকে।