ফুলশয্যার পরের দিনই পেটে বাচ্চা? নিজেরই সন্তানকে অস্বীকার কিঞ্জলের! অগ্নিপরীক্ষায় পঞ্চমী

স্টার জলসার অন্যতম একটি ধারাবাহিক হল ‘পঞ্চমী’। অন্যান্য গল্পের থেকে একটু অন্যরকম গল্প নিয়ে তৈরী এই ধারাবাহিক। বাস্তব জীবনের থেকে একটু দূরে গিয়ে কাল্পনিক কাহিনীতে মোড়া এই ‘পঞ্চমী’র এই গল্প। উক্ত ধারাবাহিকের দুই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী সুস্মিতা দে এবং অভিনেতা রাজদীপ গুপ্ত।

ধারাবাহিকের প্রথম থেকেই অবাস্তব সব জিনিস ঘটে যেতে দেখেছি। যেমন মানুষকে নাগিন হতে, আবার নাগিনদের মধ্যে স্বামীকে নিয়ে লড়াই ইত্যাদি। সম্প্রতি পঞ্চমীর বিয়ে দেখেও এক হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা জানি, প্রথমদিকে পঞ্চমী নিজেও জানতোনা তার মধ্যে যে অদ্ভুত শক্তি এবং ক্ষমতা রয়েছে।

তারপর সেই পঞ্চমীর সঙ্গে হঠাৎই শহরের এক ছেলে কিঞ্জলের বিয়ে হয়ে যায়। কিঞ্জলের মা পঞ্চমীকে পছন্দ করে বিয়ে দেয় তার ছেলের সঙ্গে। কারণ তার ছেলের সাপের ছোবলে মৃত্যু যোগ রয়েছে। আর তাই সে ভাবে পঞ্চমী কিঞ্জলকে রক্ষা করবে। কিন্তু পরে সে জানতে পারে, পঞ্চমী নিজে একজন স্যাপ, তাই পঞ্চমীকে তাড়িয়ে দেয় কিঞ্জলের জীবন থেকে। কিন্তু তারপরও পঞ্চমী সর্বদা কিঞ্জলকে আগলে রাখে।

তারপর পঞ্চমীর জীবনে আসে এক নতুন মোড়। সে জানতে পারে পঞ্চমীর সন্তান পৃথিবীতে আসতে চলেছে। পঞ্চমী ভবিষ্যতের ঘটনা আগেই জানতে পারে। ঠিক সেই মতো এই খবরও জানতে পেরে এবার পঞ্চমীর মাথায় পাহাড় ভেঙে পড়ল। কারণ পঞ্চমী যদি গর্ভবতী হয় তাহলে সে আর কিঞ্জলকে বাঁচাতে পারবে না। আর তার উপায় হিসাবে সে নিজেকে নাগিন থেকে মুক্ত করে।

তারপর কিঞ্জলের সঙ্গে আবার নতুন করে বিয়ে হল পঞ্চমীর। তবে বিপদ কাটলো না এখনও। পঞ্চমীর পেটের সন্তানকে নিজের বলে মেনে নিল না কিঞ্জল। আর তাই পঞ্চমী এবার অগ্নিপরীক্ষা দিতে চলেছে। কিঞ্জলের মাও বিশ্বাস করে না সেই সন্তান কিঞ্জলের। পাশাপাশি সেই সন্তান বড় হয়ে সাপেরই অংশ হতে পারে এমনটাও মনে করে। পঞ্চমী কি পারবে তার সন্তানকে পিতৃ পরিচয় দিতে? শুরু হতে চলেছে ‘পঞ্চমী’ ধাবাহিকের নতুন অধ্যায়।