আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি তারপরে আগামী সোমবার রাত ন’টা থেকে শুরু হয়ে যাবে বহু প্রতীক্ষিত ধারাবাহিক এক্কাদোক্কা। ভূমিকায় রয়েছে সপ্তর্ষি মৌলিক এবং সোনামণি সাহা।ম্যাজিক মোমেন্টস প্রোডাকশনের তরফ থেকে আনা হচ্ছে এই ধারাবাহিক এবং গল্প লিখছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় নিজে। অর্থাৎ মোহর আর শ্রীময়ীয়ের জাদু আমরা আবার দেখতে পাবো এক্কা দোক্কার মধ্যে দিয়ে। সে উপলক্ষ্যে আজকে স্টার জলসার পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল একটি বিশেষ প্রেস কনফারেন্সের এবং সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন আমাদের প্রতিনিধি।
সেখানে টলি গসিপের সঙ্গে মুখোমুখি কথা হলো লীনা গঙ্গোপাধ্যায় সোনামণি এবং সপ্তর্ষির সঙ্গে। প্রচুর অজানা কথা জানা গেল এবং এক্কাদোক্কার শুটিংয়ে কী কী হয়েছে সেই সম্পর্কে আপনাদের আমরা এবার জানাবো। যে প্রমোটা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই প্রমো শুটিং করেছেন শৈবাল ব্যানার্জি নিজে। সোনামণি ভীষণ এক্সাইটেড ছিলেন যখন তিনি জানতে পেরেছিলেন যে শৈবাল স্যার নিজে ডিরেক্ট করবেন প্রোমো। আবার এটাও আমরা জানতে পেরেছি যে যে টেনিস খেলার শুটিংটা হয়েছে সেটা সপ্তর্ষিকে দীর্ঘদিন ধরে প্র্যাকটিস করতে হয়েছে এবং প্র্যাকটিস করতে গিয়ে তিনি এমন শট মারতেন যে ট্রেনাররা ভয় পেয়ে যেত।
আবার রাধিকা অর্থাৎ সোনামণিকে এখন ডাক্তারি বিষয়ে অনেক কিছু জানতে হচ্ছে। তাকে এখন নিজের পরিচিত ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে এবং googleয়ে ডাক্তারি শব্দগুলো নিয়ে তিনি পড়াশোনা করছেন। আবার জানেন কি রাধিকাকে ধারাবাহিকে পোখরাজরা আড়ালে বারাণসী বলে ডাকে। তার কারণ এই বারাণসীতে যে মানুষগুলো থাকেন তারা ধর্ম কর্মে মজে গিয়ে একটু আধ্যাত্মিক জগতে চলে যান। এরকমটাই আমরা জানি আর অন্যদিকে পড়াশোনা নিয়ে এরকম ভাবেই সিরিয়াস রাধিকার তাই কুল অ্যান্ড কেয়ার ফ্রি পোখরাজ তাকে বারাণসী বলে ডাকে।
পোখরাজ একদম পড়াকু সিরিয়াস কোন ছেলে কিন্তু নয় তবে নিজের পড়াশোনা টুকু সে বজায় রাখে। অন্যদিকে রাধিকা সারাদিন পড়াশোনা ছাড়া কিছুই বোঝেনা। কেন সেন আর মজুমদার বাড়ির এত লড়াই সেটা তো গল্প দেখলেই বোঝা যাবে তবে এটুকু জানার কাছে যে আগে সেন এবং মজুমদার বাড়ির দুজনের মধ্যে ভালোবাসা ছিল কিন্তু সেটা পরবর্তীকালে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় এবং তারপর থেকেই শত্রুতা বলা যায় যার চাপ এসে পড়ে সোনামণির ওপর।
আমরা এটাও জানতে পেরেছি যে রাধিকার যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেই চেষ্টা করবে পোখরাজ তবে অবশ্যই সেটা আড়ালে। রাধিকা জানতেও পারবে না তাকে কে সাহায্য করছে। তাই পোখরাজের মনে রাধিকার প্রতি যে একটা সফট কর্নার জন্মে উঠেছে সেটাও আমরা দেখতে পাব। এছাড়াও গল্পে প্রচন্ড টুইস্ট থাকছে।লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের অন্যান্য গল্পের মত নয় এটা।
আমাদের প্রতিনিধি প্রশ্ন রেখেছিলেন যে কেন এক্কাদোক্কা নাম? বন্দোপাধ্যায় জানান যে এই নামটা তার উচ্চারণ অনুযায়ী খুব ভালো লেগেছে। এর আগে ইষ্টিকুটুম বা জল নূপুর যেরকম ছিল। এছাড়া এক্কা থেকে পরবর্তীকালে রাধিকা পোখরাজ দোক্কা হবে সেই জন্য এই নামটা বলা যায়। আবার অন্যদিকে একটা বিতর্ক উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়া যে ফাইনাল ইয়ার স্টুডেন্ট দেখিয়ে পরের বছর কি করে রাধিকা পোখরাজকে হারাবে? আমাদের সেই প্রশ্নের উত্তরে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান যে এটা সেমিস্টার দেখানো হয়েছে। এক সেমিস্টারে পোখরাজ ফার্স্ট হয়েছে তারপরের সেমিস্টারে গিয়ে রাধিকা প্রথম হবে।