Madhabilata: ভুতুড়ে কাণ্ড! কেন হঠাৎ বন্ধ করা হয়েছিলো মাধবীলতা? এতদিনে কারণ এলো সামনে

বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় দুটি মাত্র চ্যানেল আছে যে দুই চ্যানেলের প্রায় সমস্ত ধারাবাহিক বাঙালি দর্শক ভীষণই মনোযোগ সহকারে দেখে। আবার এমন কিছু ধারাবাহিকের এমন কিছু কিছু চরিত্র আছে যেগুলি বলা চলে বাঙালির অন্দরমহলের সদস্য হয়ে উঠেছে। আর এই দুটি চ্যানেল হলো জি বাংলা (Zee Bangla) এবং স্টার জলসা (Star Jalsha)।

তবে বর্তমানে স্টার জলসায় চলা ধারাবাহিকগুলিকে কিন্তু কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এর কারণ টিআরপি তালিকা। এই টিআরপি তালিকায় ভালো পারফরম্যান্স না করে দেখালেই অচিরে সেই ধারাবাহিককে বন্ধ করে দিচ্ছে এই চ্যানেল। আর যার ফলে গল্প শেষ হওয়ার আগেই হাতের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে ধারাবাহিকগুলির।

আর গল্প শেষ হওয়ার আগেই খারাপ টিআরপি’র জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এমন একটি ধারাবাহিক হচ্ছে স্টার জলসার পর্দায় একটা সময় সম্প্রচারিত হওয়া ধারাবাহিক ‘মাধবীলতা।’ উল্লেখ্য, অভিনেত্রী শ্রাবণী ভুঁইয়া ও অভিনেতা সুস্মিত দাসের এই ধারাবাহিক অল্প সময়েই দর্শকদের প্রশংসা পেলেও সেই অর্থে টিআরপিতে কামাল করতে পারেনি। আর সেইজন্য শুরুটা ধুমধাম করে হলেও মাত্র তিন মাসের মাথাতেই শেষ করে দেওয়া হয় মাধবীলতা ও তাঁর ছবি বাবুর গল্প।

প্রথমদিকে মনে করা হচ্ছিল হয়ত ‘মাধবীলতা’র সময় পরিবর্তন করে দেওয়া হবে। কিন্তু এরপর মোটামুটি ভালো টিআরপি সত্ত্বেও বন্ধ করে দেওয়া হয় এই ধারাবাহিক। গাছপালা কাটা আটকে পরিবেশ ও প্রাণ রক্ষা করলেও ধারাবাহিক রক্ষা করতে পারেনি মাধবীলতা। কিন্তু জানেন কী আসলে কেন বন্ধ হয়েছিল মাধবীলতা? না টিআরপি আসল কারণ নয়। এর পিছনে রয়েছে একটি ভুতুড়ে কান্ড।

মাধবীলতার আউটডোর শুটিংয়ে ঘটে গিয়েছিল একটি ভুতুড়ে কান্ড। যেখানে জুনিয়র আর্টিস্টের চরিত্র করতে আসা এক মহিলাকে ভূতে ধরে বলে জানা গিয়েছিল। তিনি স্বাভাবিক ভাবে শুটিং করতে এলেও হঠাৎই অস্বাভাবিকভাবে নাচতে শুরু করেন‌। যেন তাঁর উপরে কেউ ভর করেছে। এই দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে যান আর্টিস্ট থেকে শুরু করে ইউনিটের সমস্ত সদস্যরাই। ওই মহিলাকে সবাই মিলে শান্ত করার চেষ্টা করলেও তিনি দু’হাত তুলে চোখ বুঁজে মুখে কিছু একটা বলে নাচতে শুরু করেন। কেউই তাঁকে থামাতে পারেনি। অবশেষে তিনি একটু ধাতস্থ হলে একজন জুনিয়ার আর্টিস্ট তাঁকে ধরে ফেলেন। এরপর প্রযোজনা সংস্থার তরফে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অনেকে বলে তাঁর ওপর ঠাকুর ভর করেছে আবার অনেকে বলে ভূত। যদিও সেই দিনের ওই ঘটনার পর শুটিং বন্ধ হয়ে যায়।