বাংলা টেলিভিশনের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক আয় তবে সহচরী শেষ হয়েছে। সেখানেই নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এই অভিনেত্রী। এই ধারাবাহিক কেউ দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল তার অভিনয়। কিন্তু এই ধারাবাহিক চলতে চলতে হঠাৎই মাঝপথে অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী যার জন্য ধারাবাহিক ছেড়ে যেতে হয় তাকে। তারপর এই ধারাবাহিকের শেষ এপিসোড তাকে ছাড়াই সম্প্রচার করতে হয়। কিন্তু এই ধারাবাহিক চলাকালীন অভিনেত্রী একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন।
তার কথায় আয় তবে সহচরী ধারাবাহিকটি একেবারেই অন্য ধরনের ধারাবাহিক ছিল যখন তিনি এই ধারাবাহিকটি সাইন করেছিলেন কিন্তু টিআরপি তলানি তার ঠেকায় ধারাবাহিকের মধ্যে পরকীয়া দেখানো শুরু হয়। আর গল্প পরিবর্তন করতে ধারাবাহিকের টিআরপি বাড়সে থাকে। এবার বর্তমানে অভিনেত্রী জানাচ্ছেন তিনি যদি ফের ছোট পর্দায় ফেরেন তাহলে প্রযোজকদের এবং পরিচালকদের তার শর্ত মানতে হবে তবে তিনি ধারাবাহিকে কাজ করবেন।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান ছোট পর্দায় কাজ করার মানসিকতা তার নষ্ট হয়ে গেছে তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন,‘‘প্রথম পাঁচ মাস ধারাবাহিক চিত্রনাট্য মেনে চলে। যেই টিআরপি তলানিতে ঠেকে তখনই গল্পের গরু গাছে ওঠে। ও ভাবে কাজ করতে আর পারব না।’’তাহলে কি আর তিনি কোনদিন ছোট পর্দায় ফিরবেন না?
বৃহস্পতিবার প্রজাপতি ছবির ট্রেলার মুক্তিতে এসে কনিনীকা এই প্রসঙ্গে জানান, “ছোট পর্দায় যদি আমায় নিতেই হয় তাহলে প্রযোজক পরিচালককে আমার শর্ত মানতে হবে, তারা আমার সঙ্গে সহযোগিতা করলে তবেই কাজ করার কথা ভাববো। না হলে ১২-১৪ ঘন্টা কাজ করার মত শারীরিক পরিস্থিতি আমার নেই, ছোট পর্দার পিছনে অত খাটবও না আর।”
অভিনেত্রী আরো বলেন যে, “ অভিনয় ছাড়া বাঁচবো না ফলে অভিনয় আমি করবোই পাশাপাশি আমারও কিছু ভালোলাগা মন্দ লাগা আছে সেগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে মত মেলে নি বলেই ধারাবাহিক পরমেশ্বরী ছেড়ে চলে এসেছিলাম।”
তিনি আয় তবে সহচরী থেকেও বেরোতে চাইছিলেন কিন্তু পারছিলেন না।রোজ শুটিংয়ে যাওয়ার আগে চোখে জল আসতো তার, এরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অভিনেত্রীর কথায়,“ ঈশ্বর যেন এভাবেই আমায় বাঁচালেন। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসক জোড় হাতে এসে জানিয়েছিলেন তাদের জন্য আমার কাজ হাতছাড়া হয়ে গেল। আমি সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলাম আপনারা আমার কত বড় উপকার করলেন নিজেরাই জানেন না। জোর করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্টুডিওয়ে যেতে হচ্ছিলো, আপনাদের সহযোগিতায় রোজের অপছন্দের কাজ থেকে মুক্তি মিলল।”