পর্ণাকে টাকা শোধ করতে গিয়ে চড়া সুদে ঋণ নিল কৃষ্ণা! বিক্রির মুখে দত্ত বাড়ি! ধামাকা হবে আজ

এই মুহূর্তে জি বাংলার (Zee Bangla ) পর্দায় চলা প্রায় প্রত্যেকটি ধারাবাহিক‌ই কিন্তু ধামাকাদার হচ্ছে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি ধারাবাহিকে কোথাও গল্পের মধ্যে একঘেয়েমি নেই। বরং প্রত্যেকটি গল্প‌ই জমাটি। প্রত্যেকটি গল্প‌ই দর্শক মনে দারুন ভাবে জায়গা করে নিয়েছে। আর সেই কারণে ধারাবাহিক গুলি সাফল্যমন্ডিত হয়ে উঠেছে। এই যেমন জি বাংলার নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Madhu) ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে দর্শকদের অন্যতম হট ফেভারিট ধারাবাহিক।

এই ধারাবাহিকটি দীর্ঘদিন ধরেই দর্শকদের অন্যতম পছন্দের ধারাবাহিক। তবে বর্তমানে এই ধারাবাহিকটি যেন একটি বেশিই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর যার ফলস্বরূপ টিআরপি তালিকায় দারুন রকম প্রভাব পড়েছে। গত সপ্তাহের টিআরপির দিকে নজর রাখলে এই ধারাবাহিকটি দারুন রকম পারফরম্যান্স করে তৃতীয় নম্বরে উঠে এসেছে। আর যা নিঃসন্দেহে দারুণ সাফল্য তা বলাই যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ঘরে বাইরে শত্রু নিয়ে বসবাস পর্ণার। এই মুহূর্তে তার জীবন অতিষ্ঠ করে দিতে এসেছে তার প্রাক্তন বন্ধু ঈশা। পর্ণার জন্য ঈশাকে কোন এক সময় কলেজ থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল। আর সেই জন্যই পর্ণার ওপরে রাগ ঈশার। আর তাই সে এবার পর্ণাকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বিতাড়িত করে উচিত শাস্তি দিতে চায়। পর্ণার স্বামী সৃজনের ব্যবসার ম্যানেজার হয়ে এসেছে ঈশা।

আর আসা ইস্তক একের পর এক ষড়যন্ত্র করে চলেছে সে। অন্যদিকে পর্ণার শাশুড়ি মাও চান পর্ণা যেন এই বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়। আর তাই তিনি সমানে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে চলেছেন আর সেখানে যোগ হয়েছে ঈশা এবং পর্ণার বড় জা মৌমিতা। সেই সঙ্গে রয়েছে পর্ণার মেরুদণ্ডহীন স্বামী সৃজন। যে পর্ণাকে ভালোবাসে না ভালোবাসে না সেটাই আজ অবধি বুঝে উঠতে পারল না নিজে।

সৃজন যে পর্ণাকে ডিভোর্স দিয়ে এক বিরাট বড় ভুল করতে চলেছে তা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে পর্ণার শ্বশুর মশাই অর্থাৎ সৃজনের বাবা। তিনি সৃজনকে বলেছেন যদি সৃজন পর্ণাকে তার ১০ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেয় তবেই এই ডিভোর্স হবে। আর এবার ডিভোর্স করাতে বদ্ধপরিকর ঈশা, কৃষ্ণা।‌ তারা এক লোকের থেকে চড়া সুদে ১৫ লক্ষ টাকার লোন নিয়ে নেয়। উল্লেখ্য, যার থেকে তারা টাকা নিয়েছে সেই ব্যক্তির নজরে রয়েছে দত্ত বাড়ি। বিশালাকার দত্ত বাড়ি হস্তগত করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।‌ আর সেই জন্য সে চড়া সুদে ধার দিয়েছে ঈশা-কৃষ্ণাকে। যাতে এই টাকা কোন ভাবেই তারা শোধ করতে না পারে এবং দেনায় জর্জরিত হয়ে দত্ত বাড়ি বিক্রি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। কাগজে সই করে টাকা নিয়েছে কৃষ্ণা। এবার এই বড় বিপদের হাত থেকে কি করে সবাইকে বাঁচবে সৃজন? নাকি ত্রাতা হয়ে ফিরবে সেই পর্ণাই?