দুই পরিবারের শত্রুতার মাঝেই দুজনের প্রেম নিয়ে শুরু হয় ‘এক্কা দোক্কা’ বর্তমানে লিখিকা গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। ধারাবাহিকের প্রথমদিকে রাধিকা এবং পোখরাজ দুজনেরই জুটি বেশ প্রিয় ছিল দর্শকদের। কিন্তু পোখরাজের শ্বশুরবাড়ি তাদের সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিল। পোখরাজও অনেকসময় ভুল বুঝেছে রাধিকাকে।
আর তার জেরেই পোখরাজ ও রাধিকার মধ্যে দূরত্ব তৈরী হয়। এই দূরত্বের মাঝেই ধারাবাহিকে নয়া মোড় আনে লেখক। নায়ক-নায়িকা দুজনের জীবনই এগোয় আলাদা আলাদা দিকে। রাধিকার জীবনে এন্ট্রি নেয় ড: গুহর চরিত্রে প্রতীক। অন্যদিকে পোখরাজের জীবনে এন্ট্রি নেয় রঞ্জা। ড: গুহর এন্ট্রি হওয়ার পর পোখরাজ নয় রাধিকা ও ড: গুহর জুটি বেশি পছন্দ করে দর্শক।
প্রতীকের জুটিকে বেশি চাইতে লাগে দর্শক। যদিও কয়েকজন এর বিপক্ষেও ছিল। ধারাবাহিকে প্রথমে পোখরাজের সঙ্গে রাধিকার বিবাহ হয়। তাদের ডিভোর্সও হওয়ার পর ড: গুহর সঙ্গে তার বিয়ের কথা চলে। এরই মাঝে হঠাৎ রাধিকার প্রেগনেন্সির কথা সামনে আসে। যা দর্শকদের ভাবনায় ফেলে দিল। বর্তমানে রাধিকার সঙ্গে কারোর তেমন সম্পর্ক নেই, যেখানে সে প্রেগনেন্ট হতে পারে।
তবে এটা কিভাবে সম্ভব? কে এই সন্তানের বাবা? এ নিয়ে রাধিকার পরিবারের সকলেই রাধিকাকে ভুল বোঝতে শুরু করে। বিশেষ করে ড: গুহ। আর যে রাধিকার পাশে সর্বদা ছিল সে হল রাধিকার বাবা কুশল স্যার। বর্তমানে জানা গিয়েছে, রাধিকা প্রেগনেন্ট ছিল না। রাধিকার পেটে ছিল বড় টিউমার। যার জন্য রাধিকার পেট হালকা ফেঁপে ছিল। আর তা শুনে রাধিকার পরিবার কষ্টে ভেঙে পড়ে।
আর এরপরই কুশল স্যাল সকলের উপর রেগে যায়, বিশেষ করে ড: গুহর উপর। অন্যদিকে ড: অনির্বান চরিত্রের উপর দর্শকরাও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। তাদের বক্তব্য, লেখিকা পোখরাজ ও অনির্বান দুই চরিত্রকেই একই দিশায় নিয়ে যাচ্ছে। পোখরাজ যেমন রাধিকাকে ভুল বুঝেছে, অসম্মান করেছে, ঠিক সেরম অনির্বাণও তাই করল। তাহলে রাধিকার জীবনে কোনও শ্রেষ্ঠ জীবনসঙ্গীর আগমন কোনোদিনই হবে না? রাধিকা বাড়ি ফিরে এবার হয়তো নিজের জীবনে নেবে নতুন কোনও সিদ্ধান্ত!