স্টার জলসায় শুরু হয়েছে বেশ কিছু নতুন ধারাবাহিক তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘পঞ্চমী’। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী সুস্মিতা দে এবং অভিনেতা রাজদীপ গুপ্তকে। শুরুর প্রথম থেকেই দর্শকদের মধ্যে বেশ ভালই জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছে এই নতুন ধারাবাহিক। এমনকি টিআরপি তালিকাতেও প্রথম কয়েক সপ্তাহ বেশ ভালো ফল করেছে। তবে বর্তমানে টিআরপিতেও বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে এই ধারাবাহিক।
এখন আবার টানটান উত্তেজনার পর্ব দেখা যাচ্ছে পঞ্চমীতে। প্রসঙ্গত যারা এই ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শক তারা জানে যে এই গল্প তৈরি হয়েছে অতি অলৌকিক কাহিনী নিয়ে। এই সিরিয়ালের নায়িকা পঞ্চমী কোন সাধারণ মানুষ নয় একজন ইচ্ছাধারী নাগিনী। কিন্তু সে কথা সে নিজে জানে না। কারণ ছোট থেকে সে মানুষদের সঙ্গেই বড় হয়েছে।
প্রসঙ্গত ধারাবাহিক শুরুর দিকে দেখানো হয়েছিল পঞ্চমীর মা তাকে জন্ম দেওয়ার সাথে সাথে মারা যায়। এবং পঞ্চমীকে মানুষ করে এক মন্দিরের পুরোহিত এবং সেই পুরোহিতের স্ত্রী। তবে গল্প যতই এগোয় তত জানা যায় যে পঞ্চমীর মা একজন ইচ্ছাধারী নাগিনী ছিল এবং তাকে খুন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নাগ মাতারা পঞ্চমীকে জানায় যে তার মাকে যারা খুন করেছে তার গলায় একটা শঙ্খর লকেট দেওয়া হার থাকবে।
উল্টোদিকে ধারাবাহিকের নায়ক কিঞ্জলের গলায় তেমনি একটি হার রয়েছে। তাই নাগ মাতার মনে করে যে কিঞ্জল পঞ্চমীর মায়ের খুনি। তাই তারা চেষ্টা করে কিঞ্জলকে মারার। এবং কিঞ্জলের বাড়ির লোক জানে যে তার সাপে ফাঁড়া রয়েছে। পঞ্চমী যেহেতু সাপেদের সাথে কথা বলতে পারে এবং সাপ যদি কাউকে কাটতে আসে তাহলে পঞ্চমীর কথায় তারা না কেটে ফিরে যায় তাই কিঞ্জলের মা চায় পঞ্চমী তাদের সাথে থাকুক।
কিন্তু ঘটনাচক্রে কিঞ্জল সকলের সামনে পঞ্চমীর মাথায় লাল রঙ দিয়ে দেয় যার জন্য সবাই মনে করে যে তার আর পঞ্চমীর বিয়ে হয়ে গেছে। বিয়ের পরে কিঞ্জল তাদের বাড়িতে পঞ্চমীকে নিয়ে এলে তার মা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। যার ফলে তাকে একের পর এক কাজ দিতে শুরু করে। সম্প্রতি একটি পর্বে দেখা গেছে যে পঞ্চমীকে একটি পুরনো ঘর দিয়ে সেখানে পরিষ্কার করে ঠাকুর ঘর তৈরি করতে বলা হয়েছে। এবং সে সেই ঘরে যেতেই চারিদিক থেকে অনেকগুলো সাপ বেরিয়ে আসে।
সেই সাপগুলোকে দেখে পঞ্চমী ভয় পেয়ে যায় কারণ সে বুঝতে পারেনি আগে থেকে যে সেখানে সাপ রয়েছে। সে মনে মনে ভাবতে থাকে হয়তো কিঞ্জলকে প্রাণে মারতে এসেছে সেই সাপগুলো। তখনই সে মাটিতে বসে পড়ে এবং বলে যে তোমরা আমাকে ছোবল মারো মেরে নিজেদের রাগ মুক্ত কর। তারপরেই তার কানে কিছু কথা ভেসে আসতে থাকে যে ‘তোর বিষ দাঁত কই?’ ‘এখন শোধ নেওয়ার সময়।’ এরপরই সেই সাপগুলো তার দুই হাত বেয়ে উঠতে থাকে। যা দেখে পঞ্চমী আরো ভয় পেয়ে যায়। তারপরেই দেখা যায় সাপগুলো হাওয়ায় মিলিয়ে গেল তারপরেই পঞ্চমীর হাতের রং সাপের মতো হতে শুরু করে। এই দেখে পঞ্চমী অবাক হয়ে যায় আর সে বুঝতে পারে না যে তার সাথে এমন কেন হচ্ছে! এবার শুধু দেখার পঞ্চমী কবে তার নিজের আসল পরিচয় জানতে পারে?