স্টার জলসায় যেকটি নতুন ধারাবাহিক শুরু হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘পঞ্চমী’। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী সুস্মিতা দে এবং অভিনেতা রাজদীপ গুপ্তকে। এই ধারাবাহিকের গল্প গড়ে উঠেছে অলৌকিক কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে। এখানে নায়িকা পঞ্চমী হল একজন ইচ্ছাধারী নাগিনী।
তবে নায়িকা ছোট থেকে বড় হয়েছে এক মন্দিরের পুরোহিত এবং তার স্ত্রীর কাছে তাই সে তার আসল পরিচয় জানতো না। কিন্তু আস্তে আস্তে নাগ মাতারা পঞ্চমীকে বলে যে তার মাকে যারা খুন করেছে তাদের একজনের গলায় শঙ্খের লকেট দেওয়া হার থাকবে। আর তেমনি একটা লকেট দেওয়া আর পড়ে রয়েছে নায়ক কিঞ্জল। এদিকে তার আবার সাপ থেকে ফাঁড়া রয়েছে। কিন্তু তাকে বারবার পঞ্চমী সাপেদের থেকে বাঁচিয়েছে।
সম্প্রতি একটি পর্বে দেখা গেছে পঞ্চমীর গায়ের উপর পূর্ণিমার চাঁদের আলো পড়তেই সে তার আসল রূপ ধারণ করেছে অর্থাৎ সে জানতে পেরেছে যে সে একজন ইচ্ছাধারী নাগিনী। তবে তার পরই তাকে নাগ মাতারা তার মায়ের শাস্তি দেওয়ার কথা আবার একবার মনে করিয়ে দিয়েছে। তারপর সে তার মায়ের আর এক খুনিকে চিনতে পেরেছে। কিন্তু উল্টোদিকে সে তার আসল পরিচয় জানার পর থেকে ধর্ম সংকটেও রয়েছে।
এরই মধ্যে এই ধারাবাহিকের আরো একটি প্রমো সামনে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে কিঞ্জলের বাড়ির লোক তার এবং পঞ্চমীর ফুলশয্যার আয়োজন করেছে। কিন্তু উল্টোদিকে কিঞ্জল পঞ্চমীকে খুঁজে পাচ্ছে না। সে খুঁজতে খুঁজতেই রাতে ক্লান্ত হয়ে ঘরে এসে শুয়ে পড়ে। এরপরই দেখা যায় তার ঘরে চারিদিকে সাপ ভর্তি হয়ে গেছে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই কিঞ্জলকে পঞ্চমী সাপ রূপে কামড়াতে আসে আর তখনই পঞ্চমীর নাম ধরে কিঞ্জল ডেকে ওঠে।
আর তখন পঞ্চমীর মনে হয় যে মানুষটা ঘুমের ঘরেও আমার নাম বলছে তার আমি ক্ষতি করবো কি করে! এবার দেখার পালা পঞ্চমী নিজের আসল পরিচয় জানার পরে কিঞ্চলের ক্ষতি করে নাকি অন্য কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে পরবর্তী দিনে!